রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড় ও গুলশানে চারটি মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
অভিযানে প্রায় দুই লাখ মার্কিন ও কানাডিয়ান ডলার এবং ৩৮ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় হুন্ডির কারবারে জড়িত একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, বুধবার দৈনিক বাংলা মোড়ে আরএস ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিহন মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান পরিচালনা চালায় এনএসআই ও বিএফআইইউ চালায়।
অভিযানে এক লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার (১ কোটি ৯০ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা), ৩০ হাজার কানাডিয়ান ডলারসহ (২৬ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা) আরও কিছু বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও টাকা পাওয়া গেছে।
এনএসআই ও বিএফআইইউয়ের অভিযানে হুন্ডির ক্যারিয়ার মিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে নগদ ৩৮ লাখ ১৮ হাজার টাকাও পাওয়া গেছে। এই টাকা মানি এক্সচেঞ্জের মালিক শহীদের কাছে জমা দিতে এসেছিল মিরাজ। এ সময় তাকে তাকে হাতেনাতে ধরা হয়।
এভাবে শহীদ হুন্ডির কারাবার চালিয়ে আসছিল বলে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন। মালয়েশিয়াতে বসবাস করা গোপাল এই অর্থের মূল হোতা বলেও জানতে পেরেছেন তারা।
সূত্রমতে, মন্টু নামে এক ব্যক্তি মতিঝিল ও পল্টন এলাকার সব মানি এক্সচেঞ্জে বিদেশি মুদ্রা সরবরাহ করার একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। মন্টুর চক্রের সদস্য ওমর ফারুক নিহন মানি এক্সচেঞ্জে অর্থ সরবরাহ দিতে এসে ডলারসহ আটক হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, মন্টুর বাসা থেকে প্রতিদিন মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে বিদেশি মুদ্রা সরবরাহ করা হয়। সন্ধ্যায় মন্টুর নয়া পল্টনের বাসায় সারাদিনের লেনদেন শেষে টাকা ও ডলার পৌঁছে দেওয়া হয়।
গুলশান-বনানীতে অভিযান।
এদিকে বুধবার সকালে গুলশান-১-এর নাভানা টাওয়ারে সাব মানি এক্সচেঞ্জ ও লর্ডস মানি এক্সচেঞ্জ এবং গুলশান দুই-এর ল্যান্ডমার্ক টাওয়ারে মেট্রো মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান পরিচালন চালায় এনএসআই ও বিএফআইইউ।
লর্ডস মানি এক্সচেঞ্জে নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে ডলার কেনা-বেচা এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে না মেনে ডলার বিক্রির অনিয়ম পাওয়া যায়। পরবর্তীতে নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনার জন্য মালিকদের সতর্ক করে দিয়েছেন এনএসআই ও বিএফআইইউয়ের কর্মকর্তারা।
অভিযানে নাভানা টাওয়ারের পেছনে শিহাব, মিরাজ, লিটন, তুষার, জিল্লুর, মিন্টু ও রাজিব নামের ব্যক্তিরা ব্যাগে করে বিদেশি মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করে সন্ধান পেয়েছে এনএসআই ও বিএফআইইউ কর্মকর্তারা।
এদিকে মেট্রো মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান চালিয়ে ১৫ থেকে ১৬ লাখ ছেড়া টাকা, অতিরিক্ত দামে ডলার বিক্রির অনিয়ম পেয়েছে এনএসআই ও বিএফআইইউ।