সীমান্ত পেরিয়ে নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের ঘর দেয়ার বিষয়ে পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।
মঙ্গলবার (৬ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় রাখাইনের প্রশাসনে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
খলিলুর রহমান বলেন, রাখাইনের নতুন বাস্তবতায়, আমরা চাই সেখানে রোহিঙ্গারা প্রশাসনের সর্বস্তরে প্রতিনিধিত্ব করুক। জাতিসংঘের মাধ্যমে আরাকান আর্মিকে আমাদের এই বার্তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
সীমান্ত নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সীমান্তের ওপারে যেই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করবে। এতে কে কী বলল, তাতে কিছু যায় আসে না। বর্তমানে সীমান্তে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদারের প্রয়োজন নেই বলেও মনে করেন তিনি।
রাখাইনে জাতিসংঘের প্রস্তাবিত মানবিক করিডর বিষয়ে নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, সব রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সবাই একমত হলেও, করিডর বাস্তবায়নের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মার্চে বাংলাদেশ সফরে এসে রাখাইনে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালানোর জন্য বাংলাদেশের সহযোগিতা চান এবং একটি ‘মানবিক প্যাসেজ’ তৈরির প্রস্তাব দেন। এরপর ২৭ এপ্রিল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান, এ প্রস্তাবে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ।