ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরাসরি দুষেছেন পুতিনকে। পাশাপাশি, জ়েলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকৈে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য জারি রাখারও বার্তা দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে গত সেপ্টেম্বরে সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর শীর্ষ সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে ‘যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধ শেষ’ করার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার পরেই ইউক্রেন অভিযানের ‘গতি’ বাড়িয়েছিল রুশ ফৌজ।
শুক্রবার ফের একই কথা জানালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘটনাচক্রে, আমেরিকার কংগ্রেসের অধিবেশনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির বক্তৃতার কয়েক ঘণ্টা পরেই। পুতিন শুক্রবার বলেন, ‘‘যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ানো আমাদের লক্ষ্য নয়। আমরা চাই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে। আমরা এই যুদ্ধ শেষ করার জন্য যত দ্রুত সক্রিয় হব, ততই ভাল।’’
ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য শুক্রবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরাসরি দুষেছেন পুতিনকে। কংগ্রেসে জ়েলেনস্কির বক্তৃতার আগে হোয়াইট হাউসে মুখোমুখি হয়েছিলেন দুই শীর্ষ নেতা। সেখানে বাইডেন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমেরিকার সমর্থন থাকবে ইউক্রেনের সঙ্গেই। ইউক্রেনবাসীর ও সে দেশের সেনার অনমনীয় মনোভাবেরও প্রশংসা করেন।
এর পাশাপাশি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উদ্দেশে বাইডেন বলেছেন, ‘‘উনি ভাবছেন, নেটো ভেঙে দিতে পারবেন। পশ্চিমকেও। উনি ভাবছেন, ইউক্রেনবাসী হয়তো তাঁকে স্বাগত জানাবেন। উনি ভুল ভাবছেন।’’ প্রসঙ্গত, আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোতে ইউক্রেন যোগদানে উদ্যোগী হওয়ার পরেই সে দেশে সেনা অভিযান শুরু করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। প্রশ্ন উঠছে, আন্তর্জাতিক জনমত বিপক্ষে বুঝেই কি সুর নরম করছেন পুতিন? না কি কিভ দখলের চূড়ান্ত হামলা শুরুর আগে এটি তাঁর নয়া কৌশল?