দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার হাবিবুর রহমান খান আর নেই। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় তিনি হার্টঅ্যাটাক করে মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী ফারজানা মাহমুদ সনি। তিনি টেলিফোনে জানান, মিরপুরের বাসায় বিকাল ৪টার দিকে অসুস্থ বোধ করেন হাবিবুর রহমান। এসময় হঠাৎ বমি শুরু করেন। পরে দ্রুত তাকে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান, তিনি আর নেই।
হাবিবুর রহমান খান মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বিকাল ৫টার দিকে হাসপাতাল থেকে লাশ তার মিরপুরে শাইন পুকুর আবাসিক এলাকার বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪১ বছর।
মেধাবী ও বিচক্ষণ সাংবাদিক হাবিবুর রহমান খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। পড়ালেখা শেষ করে তিনি পুরোদমে সাংবাদিকতায় মনোনিবেশ করেন। তিনি রাজনৈতিক বিট করতেন। যুগান্তরের সঙ্গে তার পথচলা ১৩ বছরের। মৃত্যুর দিনেও যুগান্তরের শেষ পাতায় তার নামে লিড স্টোরি ছাপা হয়েছে। এই স্টোরি সকালে ফেসবুকে শেয়ারও করেছেন হাবিব। কে জানত এটাই তার জীবনের শেষ প্রতিবেদন!
প্রতিশ্রুতিশীল সাংবাদিক হাবিবুর রহমান খান জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য।
হাবিবুর রহমানের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর। তার বাবার নাম মৃত মো হাসেম খান, আর মা জয়তুন্নেছা।
হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে শোকাহত যুগান্তর পরিবার। যুগান্তর প্রকাশক সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, যুগান্তর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা হাবিবুর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
এছাড়া জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত এক বিবৃতিতে হাবিবুর রহমান খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।