প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আরও দিতে পারে। এটা তাদের ইচ্ছা। কিন্তু আমার দেশের মানুষর যে অধিকার, ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার শিক্ষা, চিকিৎসা সব মৌলিক অধিকার কিন্তু আমরা নিশ্চিত করেছি।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার সাংবাদিক শতরূপা বড়ুয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেছেন। শনিবার ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা সংস্করণের ওয়েবসাইটে এ সাক্ষাৎকার ভিডিও পোস্ট করা হয়।
সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, আমার এটাই প্রশ্ন যে হঠাৎ কথা নেই, বার্তা নেই তারা আমাদের ওপর ভিসা স্যাংশনস দিতে চাচ্ছে কী কারণে?
মানবাধিকারের কথা যদি বলেন বা ভোটের অধিকারের কথা যদি বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ, আমরাই তো এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে সংগ্রাম করেছি। আমাদের কত মানুষ রক্ত দিয়েছে এই ভোটের অধিকার আদায় করার জন্য। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে হয়, সেজন্য যত রকম সংস্কার দরকার, সেটা আমরাই তো করেছি। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটারতালিকা, মানুষকে ভোটের অধিকার নিয়ে সচেতন করার কাজ তো আমরাই করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার ভোট আমি দেব-যাকে খুশি তাকে দেব, এ স্লোগান তো আমারই দেওয়া। আমি এভাবে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছি। সেখানে হঠাৎ এ ধরনের একটা স্যাংশনস দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করি না।
র্যাবের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, র্যাব হোক, পুলিশ হোক বা যেটাই হোক, কেউ যদি কোনো রকম অন্যায় করে আামদের দেশে কিন্তু তার বিচার হয়। এ বিচারে কেউ কিন্তু রেহাই পায় না। অনেক সময় কোনো কাজ তারা অতিরিক্ত করে, করলে সেটা আমাদের দেশের আইনেই কিন্তু বিচার হচ্ছে। যেখানে এরকম বিচার হচ্ছে, সেখানে এ স্যাংশন কী কারণে?
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে এটা আমাদেরই দাবি ছিল। আন্দোলন করে আমরাই সেটা প্রতিষ্ঠিত করেছি। আজকে এখন তারা স্যাংশনস দিচ্ছে, আরও স্যাংশনস দেবে। দিতে পারে। এটা তাদের ইচ্ছা। আমাদের দেশের মানুষের যে অধিকার, সব মৌলিক অধিকারগুলো আমরা নিশ্চিত করেছি। মানুষের সব রকমের মৌলিক অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল, বাংলাদেশ কিন্তু বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের নানা রকম উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে সরকারপ্রধান বলেন, সেখানে এভাবে স্যাংশনস দিয়ে একটা মানুষকে ভয়ভীতি দেওয়া, ঠিক আছে। আমেরিকা যদি স্যাংশনস দেয়, আমেরিকায় আসতে পারবে না, আসবে না। না আসলে কী আসে যাবে? আমরা দেখি কী করে তারা। কেন তাদের এ স্যাংশনস, জানি না।