শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

যুক্তরাষ্ট্র খুনিদের মানবাধিকার রক্ষায় সক্রিয় : প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না বরং মানবাধিকারের সুরক্ষা দেয়। যুক্তরাষ্ট্র তো খুনিদের মানবাধিকার রক্ষায় সক্রিয়। অথচ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে দিতে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও দেশটি তাতে সায় দেয়নি।

আজ বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের (বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরী এবং এএম রাশেদ চৌধুরী) আশ্রয় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা মানবাধিকারের কথা বলে। আমার পরিবারকে হত্যা করতে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে সরাসরি গিয়েছিল নূর চৌধুরী। সে এখন কানাডায় আছে। কানাডার সরকারকে বারবার বলছি ফেরত দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা ফেরত দেয় না। তারা আবার মানবাধিকারের কথা বলে।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশবাসীর কাছে আমার প্রশ্ন- আমার পরিবারকে হারিয়েছি, হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে, গুম করা হয়েছে। একবারও কি ভেবেছেন তখন মানবাধিকার কোথায় ছিল।

দেশে গুম-খুনের সংস্কৃতি জিয়াউর রহমানই শুরু করেন উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জিয়া গণ্ডগোল লাগিয়ে রেখেছিল। আমরা সেখানে শান্তিচুক্তি করি। সেই শান্তিচুক্তিতেও বাধা দিয়েছিল খালেদা জিয়া। সে দিন হরতালও করেছে। ১৮০০ লোক সেদিন আমার কাছে আত্মসমর্পণ করে। আমরা তাদের পুনর্বাসন করেছি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে। শুধু বেঁচে থাকাই তো মানবাধিকার না। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা দিয়েছি। আমরা বিনা পয়সায় খাবার দিচ্ছি, স্বল্পমূল্যে দিচ্ছি। বিনা পয়সায় করোনা ভ্যাকসিন দিয়েছি, ওষুধ দিয়েছি, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মানুষের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করেছি। দেশের গড় আয়ু বাড়িয়েছি। মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার কমিয়েছি। আমরা দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। আমরা যখন এই প্রকল্প হাতে নিই তখন এটা নিয়ে কত কথা। আজ তো এটার সুফল সবাই লাভ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি রাষ্ট্রের মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না, সুরক্ষা দেয়।

আলোচনাসভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ