যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তি হলে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা সহজ হবে বলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমানকে দেশে ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তি করা হচ্ছে কিনা—প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি যতটুকু শুনেছি আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তারা একটা প্রোপোজাল দিয়েছিল। সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে। এখনো কনক্রিট প্রোপোজাল আমরা পাইনি। আমরা যেটুকু জানি এ ধরনের আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে অনেকেরই বন্দিবিনিময় চুক্তি হয়েছে। যেখানে এ চুক্তি হয়েছে উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতেই হয়ে থাকে। এগুলোর প্রক্রিয়ায় আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ উইং রয়েছে। সেই কাজগুলো শেষ করার পর এই চুক্তিটা সম্পন্ন হওয়ার একটা পরিবেশ সৃষ্টি হবে।’
যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তি হলে তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনা সহজ হবে কিনা—জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা আসুক। যেকোনো বন্দিকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াটা সহজ হবে।’
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা অসংখ্য মামলার মধ্যে এখন পর্যন্ত চারটিতে তার সাজা হয়েছে। এর মধ্যে অর্থ পাচারের একটি মামলায় ২০১৩ সালে বিচারিক আদালতের রায়ে তিনি খালাস পেলেও পরে উচ্চ আদালত তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন।
২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় মা খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারও সাজা হয়। তারেককে দেওয়া হয় ১০ বছরের কারাদণ্ড। একই বছরের অক্টোবরে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার কয়েকটি ধারায় তারেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বিস্ফোরক আইনের আরেকটি ধারায় তার ২০ বছর কারাদণ্ডাদেশ হয়।
সবশেষ গত ২ আগস্ট জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। একই মামলায় তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। সরকার অনেক দিন ধরেই তাকে দেশে ফিরিয়ে সাজা কার্যকরের চেষ্টা করছে।