জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধ, শহীদের সংখ্যা, সংবিধান ও নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করে তারা বাংলাদেশকে অস্বীকার করছে। আগামী নির্বাচন হবে স্বাধীনতার পক্ষ ও বিপক্ষ শক্তির মধ্যে লড়াই বললেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী সামনে রেখে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য ডেপুটি স্পিকার এসব কথা বলেন। ‘তোমার আলোয় উজ্জ্বল বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনা করেন।
ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতির হাজার বছরের দর্শন ও সংস্কৃতিকে মথিত করে প্রমাণ করেছেন, এদেশের তৃণমূল জনগোষ্ঠী অসাম্প্রয়িক।
শামসুল হক টুকু আরো বলেন, স্মার্ট বাঙালি আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে তাঁর জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে। নাশকতা ও হিংসাত্মক অপকর্মের মধ্য দিয়ে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক দর্শন ও সম্প্রীতির পরিবেশ ধ্বংসের অপচেষ্টা হয়েছে। তার ধারাবাহিকতা অর্ধশতক পেরিয়ে আজও মাঝেমধ্যে দেখা যায়।
বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম তুলে ধরে আলোচনা করেন রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন মতিন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. রশিদ আসকারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বিমান বড়ুয়া, ড. অসীম কুমার সরকার, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. আহমদ আবুল কালাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. চিন্ময় হাওলাদার।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, সম্মিলিত শক্তিতে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাঙালির স্বাধীনতা রক্ষা করা আজ প্রগতিশীল সব পক্ষের অত্যন্ত জরুরি কর্তব্য। আলোচকরা উল্লেখ করেন, গুজব ও অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণ করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি আস্থাশীল সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। অর্থনৈতিক সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার অর্জনের মধ্য দিয়ে একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বমাঝে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তার তুলনা হয় না। বিশ্বশান্তির পুরোধা হিসেবে তিনি বিশ্ববন্ধু। যারা বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে শ্রদ্ধা করে না, তারা নিজেদের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করে।