ময়মনসিংহে মাদকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট করায় স্বপন ভদ্র নামে স্থানীয় এক সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাগর নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জেলার গৌরীপুর উপজেলার পাছার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত সাগর (১৮) একই এলাকার মো. বাবুলের ছেলে। তবে সে ময়মনসিংহ সদরের রঘুরামপুর টানপাড়া এলাকায় নানির বাড়িতে থাকতো।
এর আগে, আজ দুপুরে সদর উপজেলার শম্ভুগঞ্জের মাঝিপাড়া এলাকায় সাংবাদিক স্বপন ভদ্রকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। পরে নিহত স্বপন ভদ্রের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাংবাদিক স্বপন ভদ্র মাদক ও জুয়া নিয়ে সোচ্চার ছিলেন। এছাড়াও তিনি জমি বেচাকেনার কাজ করতেন। গত তিন দিন আগে তার নিজের ফেসবুক আইডি থেকে মাদক নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। আজ সকালে সাগরসহ তিনজন সাংবাদিক স্বপন ভদ্রকে মাঝিপাড়ার বাসা থেকে ডেকে বের করেন। এ সময় সাগর স্বপন ভদ্রের হাতে কোপ দেয়। পরে স্বপন ভদ্র জীবন বাঁচাতে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করেন এবং পড়ে যান। তখন সাগর তার ঘাড়ে কোপ দেয়। এতে স্বপন ভদ্র গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সাগর মাদক সেবনের পাশাপাশি বখাটে ছিল। তার যন্ত্রণায় এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ ছিল। সাংবাদিক স্বপন ভদ্র মাদক নিয়ে এলাকায় তীব্র বিরোধী ছিলেন। ফলে ফেসবুকে এ নিয়ে লেখালেখি করেছেন বলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যার পর পরই পালিয়ে যায় সাগর। পরে পুলিশ তার পালিয়ে থাকার অবস্থান জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, নিহত স্বপন ভদ্র জেলার তারাকান্দা উপজেলার কাকনি ইউনিয়নের যোগেশ চন্দ্র ভদ্রের ছেলে। তবে তিনি পরিবার নিয়ে সদর উপজেলার শম্ভুগঞ্জের মাঝিপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন।
স্বপন ভদ্র তারাকান্দা প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি। এ ছাড়া একসময় তিনি স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন।