শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মামুনুলের ধর্ষণ কান্ড, ছাত্রলীগ নেতা রনি’র সাক্ষ্য প্রদান

হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনিসহ দু’জন। গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল দু’জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। সাক্ষ্য শেষে তাদের জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক। এনিয়ে এ মামলায় ১১জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। একই দিন সাক্ষ্য প্রদানের কথা ছিল পারভেজ নামের আরেক ব্যক্তির। তবে এদিন তার সাক্ষ্য নেয়া হয়নি। আগামি ২৩ জুলাই পারভেজের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিবউদ্দিন আহম্মেদ। এর আগে সকালে সাড়ে নয়টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয় মামুনুল হককে।

আদালতের কার্যক্রম শেষে দুপুর দুইটার দিকে পুনরায় পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামুনুল হককে কাশিমপুর কারাগারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয় বলে আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান। এদিকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণে মামুনুল হকের অনুসারীদের উপস্থিতি দেখা গেছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিবউদ্দিন জানান, সাক্ষ্য প্রদানের জন্য জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হাজী শাহ মো. সোহাগ রনি, স্থানীয় দুই বাসিন্দা রতন মিয়া ও পারভেজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দুপুর একটায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথমে সোহাগ রনি এবং পরবর্তীতে রতন মিয়া সাক্ষ্য দেন। প্রায় ঘন্টাব্যাপী তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং আসামিপক্ষের আইনজীবীর জেরা চলে। তবে পারভেজের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়নি। এজন্য আদালত পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন। আগামি ২৩ জুলাই নেয়া হবে পারভেজের স্বাক্ষ্য।

সাক্ষীরা আদালতকে জানান, নারীসহ মামুনুল হক সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে অবরুদ্ধ; ফেসবুকে এমন ভিডিও দেখে আমরা রিসোর্টে যাই। সেখানে গিয়ে মামুনুল হকের সাথে ওই নারীর সম্পর্ক জানতে চাইলে তিনি এলোমেলো উত্তর দেন। এ সময় ওই নারী আমাদের কাছে অভিযোগ করেন, বিয়ের প্রলোভনে তাকে ধর্ষণের জন্য এই রিসোর্টে এনেছেন মামুনুল হক।

এদিকে মামলাটিকে ‘সাজানো’ দাবি করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক। তার দাবি, মামুনুল হক এ মামলায় বেকসুর খালাস পাবেন। কারন সাক্ষীদের একজনের সাথে অন্যজনের সাক্ষ্যের কোন সামঞ্জস্য নেই। তারা মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, এই মামলার মোট সাক্ষী ৪৩ জন। এখন পর্যন্ত মামলার বাদী, সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টের অভ্যর্থনা কক্ষের (রিসিপশন) কর্মী মাহবুবুর রহমান ও আনসার সদস্য মো. ইসমাইলসহ এগারোজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ