আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দিন-রাত পরিশ্রম করি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। আর তারা (বিএনপি-জামায়াত) আসে ধ্বংস করার জন্য। কাজেই তাদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। অগ্নিসন্ত্রাসীদের ধরে পুলিশে দিতে হবে। মানুষের জীবন নিয়ে কাউকে খেলতে দেওয়া হবে না।
আজ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রংপুরের পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসে জনগণের সেবা করতে। জাতির পিতাকে হত্যা করার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা এসেছিল লুটপাট করতে। লুটপাট, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ- এগুলোই ছিল তাদের কাজ। তারা মানুষের কল্যাণে কোনো কাজ করেনি।
তিনি বলেন, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন। প্রতিটি নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করেছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র অব্যাহত থেকেছে। একটা স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো এই স্থিতিশীলতা অনেকেই চায় না। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর পকেট থেকে যেসব দল উঠে এসেেছে, তারা মানুষের শান্তি দেখতে পারে না। যে কারণে অগ্নিসন্ত্রাস করছে, বাসে-ট্রেনে আগুন দিচ্ছে। আপনারা দেখেছেন কয়েকদিন আগে বিএনপি-জামায়াত ট্রেনের ফিসপ্লেট খুলে ফেলে দিয়েছে। যাতে ট্রেনের বগি পড়ে গিয়ে মানুষ মারা যায়। মানুষ মারার ফাঁদ তারা তৈরি করে দিয়েছে। এর থেকে ঘৃণার আর কী থাকতে পারে। অগ্নিসন্ত্রাস, জ্বালাও পোড়াও এটাই নাকি তাদের আন্দোলন। মানুষের জন্য আমরা রাজনীতি করি, মানুষকে মেরে কিসের আন্দোলন, সেটাই আমার প্রশ্ন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে কেউ ভূমিহীন, কেউ গৃহহীন থাকবে না। প্রত্যেকেরই একটা ঘর হবে। রংপুর বিভাগের প্রায় প্রতিটি উপজেলা ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত হয়েছে। এভাবে দেশের ৩৪টি জেলা ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত। বাকি জেলাগুলোও খুব অল্পসময়ে আমরা ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত করে দিতে পারব।
এর আগে, মিঠাপুকুর ও তারাগঞ্জে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা।
সেখানে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের জীবনমান উন্নত করেছে। আওয়াম লীগ ক্ষমতায় এলেই দেশের উন্নয়ন হয়। তাই নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আরেকবার আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন।