মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে কর্মসূচির নামে বিএনপি নাশকতা করার পরিকল্পনা করছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তবে নির্বাচনের পক্ষের শক্তিকে নাশকতা ও গুপ্তহত্য প্রতিহত করার আহ্বান জানান তিনি।
আজ শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মানবাধিকার দিবসে আওয়ামী লীগ আনুষ্ঠানিক সমাবেশ করতে চেয়েছে। কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি। তবে বিএনপিকে দেবে কিনা, সেটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়।
‘নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপি’র আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে। তাতেও ক্ষান্ত হয়নি তারা, বরং নাশকতার পরিকল্পনা করছে। বাস ট্রেন পোড়াচ্ছে। প্রায় ৩০০ পরিবহনে আগুন দিয়েছে। মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে কর্মসূচির নামে নাশকতা করার পরিকল্পনা করছে। এ বিষয়ে দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে’, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি হঠাৎ করে আবার কর্মসূচির নামে নাশকতার পরিকল্পনা করছে। তবে যত বাধা ও ষড়যন্ত্রই আসুক না কেন নির্বাচন সম্পন্ন করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ পাহাড়ের মতো অটল থাকবে।
যারা নির্বাচনের বিরুদ্ধে তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘনে ১৩ দেশে ৩৭ জনকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যে অপশক্তি গণতন্ত্র নির্বাচন ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত করে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। নির্বাচন ব্যবস্থা মসৃণ করার জন্য আওয়ামী লীগ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। তাই নিষেধাজ্ঞা আমাদের ওপর আরোপ হওয়ার কারণ নেই। বিএনপির ওপর নিষেধাজ্ঞা আসা উচিত।
‘তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন, জেলে জাতীয় চার নেতা হত্য হলো সে বিষয়ে উচ্চবাচ্য হয়নি। কোনো প্রতিবাদ হয়নি। মানবাধিকার নিয়ে অনেকে কথা বলে, কিন্তু ২১ আগস্ট, ১৫ আগস্ট নিয়ে কথা বলে না’, যোগ করেন কাদের।
নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র নিয়ে বিচলিত নয় জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। ভালো নির্বাচন করাই চ্যালেঞ্জ। এছাড়া বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করারও পরিকল্পনা আছে তাদের। কিন্তু আমরা রাজনৈতিক শক্তির দৃঢ়তা নিয়ে আছি। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বারবার গণতন্ত্রের সংগ্রাম এগিয়ে নিয়েছে। এখনো যত ষড়যন্ত্র হোক, বাধা আসুক নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আমরা অবিচল। ভোটের পরও চাপ আসতে পারে। এসব মোকাবিলা করার মনোবল ও রাজনৈতিক শক্তি দলের আছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করছে। ভবিষ্যতে সংকট মোকাবিলায় কি কি করা যায় তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন।