রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মাত্র ১২০ মিটার দূর থেকে ট্রাম্পের ওপর হামলা

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে মাত্র ১২০-১৫০ মিটার দূর থেকে গুলি ছুড়েছে সন্দেহভাজন হামলাকারী। সিএনএনের বিশ্লেষণে বেরিয়ে এসেছে ওই বন্দুকধারীর ভৌগলিক অবস্থান। গণমাধ্যমটির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে পেনসিলভ্যানিয়ার বাটলারে একটি নির্বাচনী সমাবেশের মঞ্চে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এক বন্দুকধারী। এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান ট্রাম্প। ট্রাম্পের ডান কানের উপরের অংশে গুলি স্পর্শ করেছে। এতে ট্রাম্প রক্তাক্ত হয়েছেন।

সিক্রেট সার্ভিসকে উদ্বৃত করে সিএনএন জানিয়েছে, বন্দুকধারী সমাবেশের বাইরে একটি উচু ভবনের ছাদে অবস্থান নিয়েছিল। সেখান থেকে সে একাধিক গুলিবর্ষণ করেছে। তবে সে পুরোপুরি সফল হতে পারেনি। পরে এক সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যের গুলিতে ওই বন্দুকধারী নিহত হয়। এর পাশাপাশি আরেকজন দর্শকও সেখানে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।

তবে ওই দর্শক কিভাবে নিহত হয়েছেন সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। ট্রাম্পের ওপর এই হামলাকে এফবিআই হত্যাচেষ্টা বলে উল্লেখ করেছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে পিটসবার্গ অফিসের দায়িত্বে থাকা এফবিআই স্পেশাল এজেন্ট কেভিন রোজেক বলেছেন, এটি আশ্চর্যজনক যে বন্দুকধারী ট্রাম্পের সমাবেশের সময় একাধিক গুলি চালাতে সক্ষম হয়েছিল। নিরাপত্তার জন্য ট্রাম্পের সমাবেশের চারপাশে সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তবে কিভাবে বন্দুকধারী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা উপেক্ষা করে ট্রাম্পের ওপর গুলি চালিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট করেনি এফবিআই।

সেখানে ঠিক কী ঘটেছে এবং কীভাবে বন্দুকধারী তার অবস্থান নিশ্চিত করেছে তার বিস্তারিত জানতে কিছুটা সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। এছাড়া ওই হামলাকারী কোন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছে সে বিষয়েও দীর্ঘ তদন্তের কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে বলে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।

পেনসিলভ্যানিয়া স্টেট পুলিশের লেফটেন্যান্ট কর্নেল জর্জ বিভেনস বলেছেন, পুরো ঘটনায় নিরাপত্তাবাহিনীর ব্যর্থতা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এসব ঘটনা এড়াতে তৎপরতা আরও জোরালো করতে কী পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে সে বিষয়েও পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। যদিও তিনি মনে করেন এমন খোলা মাঠের জনসভায় সার্বিকভাবে সুরক্ষা নিশ্চিত করা অবিশ্বাস্যভাবে কঠিন।

বিভিন্ন ফুটেজে দেখা গেছে গুলি করার পর দেহরক্ষী এবং সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ট্রাম্পকে ঘেরাও করে দাঁড়িয়েছেন এবং তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা বন্দুকধারীর গুলিবর্ষণ থামার পর সেখান থেকে ট্রাম্পকে সরানো হয়েছে বলে সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে।

এছাড়া সিএনএনের তোলা ছবিতে সিক্রেট সার্ভিস কাউন্টার সদস্যদের অবস্থান ধারণ করা হয়েছে। ওই সমাবেশে নিকো মিচেল নামের একজন উপস্থিত ছিলেন। সিএনএনকে ফোনে তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের নির্বাচনী মঞ্চের ঠিক পেছনের ছাদে অবস্থান নিয়েছিলেন সিক্রেট সার্ভিসের স্নাইপাররা। স্নাইপারদের অবস্থান ভিডিও করেছিলেন তিনি।

তার করা ভিডিওতে একাধারে পর পর কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা যায়। গুলির শব্দ থামার পরই কানে হাত দিয়ে ডায়াসের নিচে বসে পড়েন ট্রাম্প। সেখানে উপস্থিত জনতার ভয়ার্ত চিৎকার শোনা যায় এবং তাদের এদিক সেদিকে ছুটতে দেখা যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ