কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগর থেকে অন্তত ২২ জেলেসহ ৫টি মাছ ধরার ফিশিং ট্রলার নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে মৌলভীরশীল নামক এলাকার বাংলাদেশ জলসীমানা থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফিশিং ট্রলার মাঝিমাল্লাসহ ধরে নিয়ে গেছে বলে জানান টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ফিশিং ট্রলার মালিক সমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম।
তিনি বলেন, সকালে সেন্টমার্টিনের অদূরে মাছ শিকারের সময় মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) সদস্যরা স্পিড বোটে এসে মাছ শিকারত ট্রলারগুলো নিয়ে যায়। এরমধ্যে একটি ট্রলারের মালিক আমি, অপরটির মালিক মোহাম্মদ শাওন। এই দুইটিতে ১১ জন জেলে রয়েছেন। এছাড়া একই স্থান থেকে আরও ৩টি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে গেছে। তবে সেগুলোর মালিক ও ট্রলারের নাম জানা যায়নি। ওই ৩টিতেও ১০ থেকে ১২ জন জেলে থাকতে পারেন।
তিনি বলেন, কিছুদিন পর পর আরাকান আর্মি এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এতে ট্রলার মালিক ও মাছ ব্যবসায়ীসহ জেলেদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাছাড়া এটি সমাধানে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি আমরা।
সাবরাং ইউনিয়নের ৭নং ওযার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান বলেন,‘সাগর থেকে আবারো মাছ ধরার ৫টি ট্রলার নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে সেগুলো কোন ঘাটের ট্রলার তা জানা যায়নি। তাছাড়া সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া আমাদের এলাকার বেশ কয়েকটি ট্রলারকে ধাওয়া দিয়েছে আরাকান আর্মির সদস্যরা। ট্রলারগুলো ফেরত এলে জানা যাবে।
কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর বলেন, টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ঘাটের দুটি ট্রলারের ১১ জন জেলেসহ দুটি ট্রলার নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। এর বাহিরে আরও ৩টি ট্রলারসহ বেশ কয়েকজন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এগুলোর তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। এ ব্যাপারে নিশ্চিত না হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান বলেন, সাগর থেকে ট্রলার নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, মাছ ধরার ট্রলারসহ জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের ফেরত আনার চেষ্টা চালানো হবে।