নিজস্ব প্রতিবেদক
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা ব্র্যাঞ্চের শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতন ও শাখা প্রধানকে লাঞ্ছনার ঘটনা তদন্তে শিক্ষকদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে সরেজমিনে তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে এ কমিটি গঠন করা হয়। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার সাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ৬ সেপ্টেম্বর ভিকারুননিসা বসুন্ধরা দিবা শাখার শিক্ষক আবু সুফিয়ানের (ইংরেজি) বদলিজনিত বিষয়টিকে কেন্দ্র করে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে তা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা পরিপন্থি। বিষয়টির একটি সুষ্ঠু-তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হলো। কমিটির সদস্যদের বসুন্ধরা শাখায় সরজমিনে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।তদন্ত কমিটিতে প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র শিক্ষক কেকা রায় চৌধুরীকে প্রধান করে শিক্ষক রুবিনা তাসমিন, মমতাজ বেগম, আজিমপুর দিবা শাখা ভিকারুননিসার সহকারী প্রধান শিক্ষক লাইলুন নাহার, ভিকারুননিসা মূল ব্র্যাঞ্চের দিবা শাখার শাখা প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম খানকে সদস্য করা হয়েছে।
জানা গেছে, ভিকারুননিসা বসুন্ধরা ব্র্যাঞ্চের শিক্ষক আবু সুফিয়ানকে বদলি করে আজিমপুর শাখায় পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হলে সে তথ্য অভিভাবকদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। শাখা প্রধান জগদীস পালের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হওয়ায় তাকে বদলি করা হয়েছে এমন অভিযোগে বদলির আদেশ বাতিল করে তাকে বসুন্ধরা শাখায় রাখতে অভিভাবকরা স্কুলে জড়ো হয়ে মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে অভিভাবক-ছাত্রীরা একত্রিত হয়ে শাখা প্রধানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন।
ঘণ্টাখানেক পর খুলে দেওয়া হলেও জগদীস পালকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। দিনভর বিক্ষোভের পর রাতে এ আদেশ বাতিল করা হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ সময় অভিভাবকদের কেউ কেউ ছাত্রীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ শারীরিক নির্যাতন করেন বলে পরদিন লিখিত অভিযোগ করে বিচার দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।