রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘ভাগ্যিস অষ্টমী-নবমী একই দিনে পড়ল’

অদ্রিজা রায়। ছবি: সংগৃহীত।

দীপাবলির সময়ে লম্বা ছুটি নিয়ে রেখেছেন তিনি। সেই সময়ে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। তাই আলাদা করে দুর্গাপুজোয় ছুটি নিতে পারেননি।

কর্মসূত্রে এখন মুম্বইবাসী অদ্রিজা রায়। তবে দুর্গাপুজোয় এক বার অন্তত কলকাতা আসতেই হবে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে কল্লোলিনীকে এক বার চোখের দেখা দেখতেই হবে। তাই কাজ থেকে ছুটি নিয়ে ঝটিকা সফরে কলকাতা এসেছিলেন অভিনেত্রী।

অদ্রিজা জানান, দীপাবলির সময়ে লম্বা ছুটি নিয়ে রেখেছেন তিনি। সেই সময়ে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা তাঁর। তাই আলাদা করে দুর্গাপুজোয় ছুটি নিতে পারেননি। যদিও এক দিন ছুটি সকলের জন্যই বরাদ্দ থাকে। তবে তার সঙ্গে আরও অর্ধেক দিনের ছুটি কোনও ক্রমে নিতে পেরেছেন তিনি। দেড় দিনের ছুটি পেয়েই ছুটে এসেছেন কলকাতার পুজো দেখতে।

সপ্তমীর সকালের বিমানে কলকাতা আসেন অদ্রিজা। পরের দিন অর্থাৎ অষ্টমীর ভোরে অঞ্জলি দেন এবং সন্ধিপুজো দেখেন। একই দিনে এ বার নবমী। নবমীর অঞ্জলিও দেন। অদ্রিজা বলেন, “পুজো সেরে একটু খেয়ে বাড়িতে দুই ঘণ্টা ঘুমিয়েই বিকেলের বিমানে মুম্বই ফিরে এসেছি।”

মুম্বইয়ে রানি মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতেও নিমন্ত্রিত ছিলেন অদ্রিজা। দশমীতে সেখানে গিয়েই সিঁদুর খেলার পরিকল্পনা তাঁর। এই ঝটিকা সফরে কয়েক জন কাছের বন্ধুর সঙ্গে সপ্তমীর রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন অদ্রিজা। অভিনেত্রী বলেন, “কলকাতা এসে ম্যাডক্স স্কোয়্যার বাদ দেওয়া যায় না। তাই ম্যাডক্সের ঠাকুর দেখেছি। আহিরীটোলা গিয়েছি।”

তবে তাড়াহুড়ো থাকার কারণে বেশ কিছু পছন্দের পুজো মণ্ডপ ঘোরা হয়নি বলে সামান্য আক্ষেপও রয়েছে অদ্রিজার। তাঁর কথায়, “মনখারাপ রয়েছে। কাজ তো করতেই হবে। তবে কাজের জন্যই সব কিছু। আমার ভাগ্য ভাল যে একই দিনে অষ্টমী-নবমী পড়েছে, দুটো পুজোতেই আমি থাকতে পেরেছি। গত বছর তো আমি ছুটিই পাইনি। আসতেই পারিনি কলকাতায়।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ