স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকট উত্তরণে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নোয়াখালী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান যথাক্রমে আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু ও রুহুল আমিনকে শপথবাক্য পড়নোর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
নোয়াখালী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদ্বয়কে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর জেলা দুটি পরিষদের ১৯ জন নির্বাচিত কাউন্সিলরকে শপথবাক্য পাঠ করান এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি যাতে আমাদের দেশের জনগণকে বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে ভোগান্তিতে পড়তে না হয়। নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আপনারও কিছু দায়িত্ব আছে এবং আপনাকে সে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
এ সময় সারাদেশে প্রতি ইঞ্চি পতিত জমি চাষের আওতায় নিয়ে আসার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সারাদেশের সব আবাদি জমি যদি চাষের আওতায় আনা যায়- তাহলে দেশে আর কোনো সংকট থাকবে না।
এ ব্যাপারে তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে নিজের খাবার নিজে উৎপাদনে মানুষকে সচেতন করতে সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে প্রতিটি খাতে কঠোরতা দেখাতে এবং সঞ্চয় করতে সকলের প্রতি আহবান জানান । কেননা বিশ^জুড়ে আমদানী পণ্যের দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে।
শেখ হাসিনা দেশের সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে- জনপ্রতিনিধিদের স্থানীয় উন্নয়ন তহবিলের যথাযথ ব্যবহার এবং স্থানীয় প্রকল্পের মানসম্মত কাজ নিশ্চিত করতে বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে আপনাকে বরাদ্দকৃত স্থানীয় তহবিলের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে কারণ উন্নয়নের দিক থেকে কোনও এলাকা পিছিয়ে নেই।’
প্রধানমন্ত্রী চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলির কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে তাদের দেখাশোনা করার পরামর্শও দেন।
জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে জনপ্রতিনিধিদের জন কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বিনামূল্যে ঘর করে দেয়ার সরকারের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে জনপ্রতিনিধিদেরকেও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট নির্বিশেষে সারাদেশে ভূমিহীন ও ভূমিহীনদের একটি তালিকা তৈরি করতে বলেন।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে ৩৫ লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে বিনামূল্যে ঘর-বাড়ি করে দেওয়া হয়েছে।