উত্তরপ্রদশের কাসগঞ্জের একটি মামলার শুনানি হয় হাই কোর্টে। দুই যুবকের বিরুদ্ধে এক কিশোরীর বুকে হাত দেওয়া এবং পাজামার দড়ি খুলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তাতে ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টার মামলা খাটে না। প্রতীকী ছবি।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তাতে ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টার মামলা খাটে না। প্রতীকী ছবি।
বুকে হাত দেওয়া, পাজামার দড়ি খুলে দেওয়া ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টার শামিল নয়। তবে এটি অবশ্যই যৌন হেনস্থা। এক মামলার প্রেক্ষিতে এমনই পর্যবেক্ষণ ইলাহাবাদ হাই কোর্টের।
উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জের একটি মামলার শুনানি হয় হাই কোর্টে। দুই যুবকের বিরুদ্ধে এক কিশোরীর বুকে হাত দেওয়া এবং পাজামার দড়ি খুলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শুধু তা-ই নয়, কিশোরীকে একটি কালভার্টের নীচে টেনে নিয়ে যান অভিযুক্তেরা। স্থানীয়েরা সেই ঘটনা দেখে ফেলতেই কিশোরীকে ফেলে চম্পট দেন দুই অভিযুক্ত। ২০২১ সালের ঘটনা। কিশোরীকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার নামে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ দায়ের হয় কাসগঞ্জ থানায়।
কাসগঞ্জ আদালতের নির্দেশে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়। মামলাটি নিম্ন আদালত থেকে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে পৌঁছয়। বিচারপতি রামমনোহর নারায়ণ মিশ্রের বেঞ্চ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪৫-বি (হামলা অথবা বিবস্ত্র করার চেষ্টায় বলপ্রয়োগ) এবং পকসো আইনের ৯/১০ ধারায় মামলা রুজু করতে নির্দেশ দেয়।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তাতে ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টার মামলা খাটে না। ধর্ষণের চেষ্টার মামলা দায়ের করতে গেলে সরকারি আইনজীবীকে প্রমাণ দিতে হবে যে, ঘটনাটি ধর্ষণের দিকেই এগোচ্ছিল। অপরাধ ঘটানোর প্রস্তুতি এবং প্রকৃত প্রচেষ্টার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, সাক্ষীরা এটাও বলেননি যে, নির্যাতিতাকে বিবস্ত্র করা হয়। অভিযুক্তেরা নির্যাতিতাকে ধর্ষণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন, এমন কোনও ধারণা মেলেনি রেকর্ডে থাকা তথ্য থেকে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যখন ধর্ষণ এবং যৌন হেনস্থার মতো ঘটনা বেড়ে চলেছে, সেই সময়ে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের এমন পর্যবেক্ষণ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।