স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (এইচএসআইএ) কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড তদন্তের জন্য চার বিদেশি দেশ – ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন এবং তুরস্কের বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
উপদেষ্টা আজ দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চারটি দেশকে এখানে কোনও অব্যবস্থাপনা আছে কি না তা তদন্তের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, তারা চান ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন এবং তুরস্ক থেকে বিশেষজ্ঞরা এসে অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত করুক। তিনি বলেন, তারা তদন্তের মাধ্যমে আগুনের কারণ এবং ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করবে।’
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটও ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের অন্যান্য ইউনিটগুলোও ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে আসে।
তিনি বলেন, কার্গো ভিলেজে দাহ্য পদার্থ বেশি থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে গার্মেন্টস পণ্য বেশি ছিলো এবং কিছু কেমিক্যালও ছিলো।
তিনি আরো বলেন, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুটা সময় লেগেছে। তাছাড়া অনেক সময় বাতাসের কারণেও আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লাগে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস ব্যর্থ হয়নি উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। তারা সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে কাজ করেছে।
এছাড়া শনিবার রাত ৯টায় পুনরায় ফ্লাইট ওঠা-নামা চালু করাও সম্ভব হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিমানবন্দরে ইলেকট্রনিক গেট দ্রুত চালুর বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ ছাড়া প্রবাসী শ্রমিক তথা রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য পাসপোর্টের ফি কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
তিনি এসময় বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন সময় যথাসম্ভব কমিয়ে আনা এবং যাত্রীদের অযথা হয়রানি বন্ধে সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশনা দেন।
এসময় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক এবং ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে কার্গো ভিলেজে-যেখানে আমদানিকৃত পণ্য সংরক্ষণ করা হয়- সেখানে এই আগুনের সূত্রপাত ঘটে।










