টানা দুই মেয়াদে ১০ বছরের বেশি সময় রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে বঙ্গভবন থেকে বিদায় নিলেন মো. আবদুল হামিদ। বিদায় বেলায় তিনি বলেন, এখন আমি সাধারণ নাগরিক হিসেবে একটু ফ্রিলি মুভ করতে পারব। এটাই আমার সবচেয়ে বড় আনন্দের।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর দুপুরে বঙ্গভবন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেন ২১তম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি নিজেকে একজন সাধারণ মানুষ মনে করি। আমি সারাজীবন সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি করেছি। মানুষের বাইরে আমার কোনো চিন্তা ছিল না এবং কোনো দিন থাকবেও না। সব রাজনীতিবিদদের আমি একটি কথাই বলব, তারা যেন দেশের মাটি ও মানুষকে ভালোবেসে রাজনীতি করে। তাহলেই রাজনীতি আরও অনেক সুন্দর হবে।
‘নতুন রাষ্ট্রপতি যেন সাংবিধানিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারেন এটাই আমার এবং জাতির প্রত্যাশা,’- যোগ করেন আবদুল হামিদ।
বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বলেন, আপনারা জানেন আমি এর আগে জাতীয় সংসদের স্পিকার ছিলাম। এখানে আসার (রাষ্ট্রপতি পদে) আমার ইচ্ছা ছিল না, তবুও চলে এসেছি। জাতীয় সংসদে আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতাম। কারণ সেখানে নিজেকে মুক্ত বলে মনে হতো। আমি জানি যে এখানে আসলে অনেকটা বেড়াজালের মধ্যে পড়ে যাবো, যাই হোক তবুও মোটামুটি ১০ বছরের বেশি পার করে ফেলেছি।
তিনি আরও বলেন, এখন আমি বাড়িতে বসে হয়তো কিছু লেখালিখি করব। তবে অ্যাকটিভলি রাজনীতি করার পরিকল্পনা আমার নেই। কারণ, দেশের মানুষ আমাকে এত ইজ্জত দিয়েছে, দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি করেছে। সুতরাং আবার আমি রাজনীতি করবো বা অন্য কোনো পদে যাবো এটা হবে না।
কিশোরগঞ্জের সন্তান আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের মার্চ মাসে অস্থায়ী ও ২৪ এপ্রিল প্রথম দফায় দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। এরপর ২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ২১তম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বঙ্গভবনে ১০ বছরেরও বেশি সময় কেটেছে আবদুল হামিদের। রোববার (২৩ এপ্রিল) তার শেষ কর্মদিবস ছিল। আর সোমবার তিনি বঙ্গভবন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেন।