মহান বিজয় দিবসের ছুটিতে সূর্যোদয়, সূর্যাস্তের বেলাভূমি খ্যাত সাগরকন্যা কুয়াকাটা পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত। রবিবার রাত থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিশু, কিশোর, যুবক থেকে শুরু করে নানা বয়সী হাজার হাজার পর্যটক বহনকারী বাস, মিনি বাস, প্রাইভেট কারে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে এসে ভিড় জমায় পর্যটকরা । সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পর্যটকদের পদভারে মুখর ছিল সমুদ্র সৈকতের পুরো এলাকা।
আগত পর্যটক, দর্শনার্থীরা তীব্র শীত উপেক্ষা করেও সমুদ্রের ঠান্ডা পানিতে গোসল সহ হই হুল্লোড়ে মেতে ওঠে। ওয়াটার বাইক ও স্পীড বোটে সমুদ্রতীরের কাছাকাছি ঘুরে বেড়ান তারা। আবার কেউ কেউ সৈকতের বেঞ্চিতে বসে ঢেউয়ের গর্জন শুনে আনমনে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন। কেউবা আবার সেল্ফি তুলে কিংবা ফটোগ্রাফারের ক্যামেরা বন্দী হয়ে স্মৃতি ধরে রাখেন।
আগতরা কুয়াকাটার ঝাউ বাগান, লেম্বুরচর, লাল কাঁকড়ার চর, চর বিজয়, কুয়াকাটার ঐতিহ্যবাহী কুয়া, রাখাইন পল্লী, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, সীমা বৌদ্ধ বিহার, গঙ্গা মতির লেক সহ কুয়াকাটার দর্শনীয় স্পটগুলো ঘুরে দেখেন।
আবাসিক হোটেল গুলোতেও আশানুরূপ বুকিং রয়েছে। খাবার হোটেল ও ঝিনুক শামুকের দোকানে কেনাকাটার ধুম পড়ে।
পর্যটক দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ সহ সাদা পোশাকে নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর ছিল। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, এভারেজে ৭০ ভাগ বুকিং রয়েছে। আশা করছি এখন থেকে আগামী কয়েক মাস প্রতিনিয়ত এভাবেই পর্যটকের সমাগম থাকবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পর্যটকের বাড়তি আগমনকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দর্শনীয় স্পটগুলোতো ভ্রাম্যমাণ টহল অব্যাহত রয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশসহ সাদা পোশাকে নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিশেষ নজর রাখছেন বলে জানান।