বিএনপি নয়, ক্ষমতাসীনরাই অগ্নি সন্ত্রাসের মূল হোতা বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার বিকালে তিনটি সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে সরকারের মন্ত্রী-নেতাদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, বিএনপির চলমান আন্দোলনের গতি প্রতিদিন ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। এটাতে ভীত হয়ে ক্ষমতাসীনরা তাদেরই সৃষ্ট অগ্নি সন্ত্রাসের বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসছে। এই অগ্নি সন্ত্রাসের মূল হোতা আওয়ামী লীগ নিজেই, সরকার নিজেই। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে যতগুলো ঘটনা ঘটেছে তার প্রত্যেকটি (অগ্নি সন্ত্রাসের ) ঘটনায় আওয়ামী লীগের লোকেরাই সঙ্গে জড়িত। যে বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে সেই বাসের মালিক হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অগ্নি সন্ত্রাসের ঘটনায় খালেদা জিয়াকে আসামী করে যে মামলাগুলো দেয়া হয়েছে তার মহৃলেও ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগের লোকেরাই জড়িত।
বিএনপি কোনো সšস্লাসের সাথে জড়িত নয় দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি কখনোই অগ্নি সন্ত্রাসের বা সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় যায়নি অতীতে, এখনো যেতে চাই না।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, এতোগুলো সমাবেশ হয়েছে প্রত্যেকটিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপরে অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে। কিন্তু দল থেকে কোনো রকমের কোনো সন্ত্রাসের উস্কানি দেয়া হয়নি। তারাই উস্কানি দিয়ে সন্ত্রাসের সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। অর্থাত তারা এই চলমান আন্দোলনকে আবার ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য এই পদ্ধতিটা বেঁছে নিয়েছে। কিন্তু তাতে কাজ করবে না। কারা কি করছে তা জনগণ দেখছে। এখন সরকারের সেটা কাজ দেবে না। জনগণের একটাই দাবি- এই সরকারকে পদত্যাগ করে চলে যেতে হবে।
‘কোনো ছাড় দেয়া হবে না’ সরকারের মন্ত্রীদের এরকম বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ছাড় কেউ কাউকে দেয় না তো। দাবি আদায় করে নিতে হয়। আর উনারা যে বডি ল্যাংগুয়েজে কথা বলছেন- ওটা থাকে না। শেষ পর্যন্ত এই ধরনের ফ্যাসিবাদ সরকার তাসের ঘরের মতো মসনদ পড়ে যায়। ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এইচএম এরশাদের একই ধরনের কথাবার্তা ছিলো, বডি ল্যাংগুয়েজ ছিলো। ৬ তারিখে কিন্তু ধপাস।
বিকেল ৪টায় মাইনরিটি জনতা পার্টি, বিকাল সাড়ে ৪টায় বাংলাদেশ ন্যাপ ও বিকাল ৫টায় সাম্যবাদী দলের সঙ্গে সংলাপে বসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মাইনোরিটি জনতা পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি কুমার মন্ডল, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী এবং বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলেরে সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম নিজ নিজ দলের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বিএনপির মহাসচিবের সাথে ছিলেন ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
সরকার পতন আন্দোলনের কর্মকৌশল চূড়ান্ত করতে গত সেপ্টেম্বর থেকে বিএনপি মহাসচিব ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু করেন।
এনএফ/ জে আর।