বৃহস্পতিবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিএনপির সমাবেশ থেকে হামলা-ভাঙচুর-আগুন

ঘোষণা ছিলো শান্তিপূর্ণ সমাবেশের। লোক সমাগম হওয়ার কথা দুপুর দুইটা থেকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। কাকরাইল মোড়ে শুরু করেন গাড়ি ভাংচুর।

একটি বাস ও কয়েকটি পিকআপে করে আসা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা কাকরাইলে নেমে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার সময় বিএনপির সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর শুরু করেন।

এক পর্যায়ে কাকরাইল এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। ব্যাপক ভাংচুর ও আগুন জ্বালানোর ঘটনা ঘটে। আগুন দেয়া হয় পুলিশ বক্সে।

এমনকি এ সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ঢিল ছুঁড়তে দেখা যায় বিএনপি নেতাকর্মীদের।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) ভোর থেকেই কাকরাইল, নাইটিঙ্গেল মোড়, বিজয় নগর, ফকিরাপুল, রাজারবাগ, দৈনিক বাংলা, আরামবাগ ও মতিঝিল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্যকে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে।

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো বিশেষ করে শাপলা চত্বরের আশপাশে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য।

পুলিশ বলছে, যে কোনো ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত রয়েছেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, কেউ পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ