বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাজারে দাম বেড়েছে সবজির

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম কমেছে সবজি, পেঁয়াজ, আদা, আলু ও ডিমের। অন্যদিকে কমেছে মুরগির দামও। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম। গতকাল সকালে দিগু বাবুর বাজার, কালীর বাজার এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে দাম বেড়েছে সবজির। এসব বাজারে শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। টমেটো দাম বেড়ে হয়েছে ২৬০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চাল কুমড়ার পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বটবটির কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দুলের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

দিগু বাবুর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আল-আমিন বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। উৎপাদনও কম।

এসব বাজারে ২০ টাকা দাম বেড়ে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। শুকনো মরিচের কেজি ২৫০-২৬০ টাকা।

আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আর একটু ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। আদার দাম বেড়েছে। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।

কালীর বাজারের পেঁয়াজ-রসুন বিক্রেতা মো. শাহীন কবির বলেন, ঈদ উপলক্ষে পেঁয়াজ-রসুনের দাম বেড়েছে।  কোরবানির ঈদে আলু, পেঁয়াজ ও আদার দাম বেড়ে যায়।

বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। লাল চিনি ৯০ টাকা কেজি। এছাড়াও এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা। ইন্ডিয়ান মুশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকায়। অন্য দিকে, প্যাকেট আটার কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৫০ টাকা। বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ২০৫ থেকে ২১০ টাকার। বোতলজাত তেল ১৯৫ থেকে ২০০টাকা।

দিগু বাবুর বাজারের মোদি দোকান ব্যবসায়ী মাসুম লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, বাজারে দ্রব্য মূল্যের দাম তুলনা মূলক বেশী। কোরবানীর ঈদকে কেন্দ্র করে আরও বাড়ার সম্ভবনা আছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বাজারের দাম লাগামহীন বলা যায়। মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের বেশী দামে কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।

এসব বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। বাজারে হাঁসের ডিমের দাম বেড়েছে। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০ টাকা। 

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ টাকায়। মুরগির দাম কমে কেজি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা হয়েছে। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়।

বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. আসাদ বলেন, মুরগির দাম কমেছে। ঈদ উপলক্ষে আগামী সপ্তাহে বাজারে মুরগির দাম কমার সম্ভাবনা আছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ