সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিযুক্ত ২৫ কর্মকর্তার নামে অভিযোগের ভিত্তিতে লকার খুঁজতে গিয়েও কোনো লকার খুঁজে পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অভিযান শেষে এমন তথ্য নিশ্চিত করে সংস্থাটি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত ২৬ জানুয়ারি তল্লাশি চালানো হয় সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের লকারে, পাওয়া যায় ৫ কোটি টাকার সম্পদ। ১ কেজির বেশি স্বর্ণসহ যেখানে ছিল বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাও। এরপরই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাদের লকারে তল্লাশি করতে চেয়ে চিঠি দেয় দুদক।
রোববার দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকে যায় দুদকের ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল। দিনভর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২৫ জন কর্মকর্তার লকার তল্লাশি করে দুর্নীতি দমন কমিশনের ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
অভিযান শেষে দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জমান জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৫ জন কর্মকর্তাসহ সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভল্টে চেক করলেও খুঁজে পাওয়া যায়নি লকার।
তিনি বলেন, ‘যেই ২৫ জনের অভিযোগের ভিত্তিতে এসেছিলাম, তাদের নামে কোনো লকার নেই। আরও অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। আদালতের অনুমোদনের ভিত্তিতে পরবর্তী অভিযানে আসবে দুদক।’
এর পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ সময় তিনি আরও জানান, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ বার বার আসায় কিছুটা বিব্রতবোধ করছেন তারা।