সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশ থেকে সরাসরি তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারে ব্রাজিল : প্রধানমন্ত্রী

ব্রাজিলকে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি তৈরি পোশাক (আরএমজি) পণ্য আমদানির আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে আরএমজি পণ্য তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সীমিত পরিসরে ব্রাজিলে রপ্তানি করা হচ্ছে। দেশটি সরাসরি বাংলাদেশ থেকে আরএমজি পণ্য আমদানি করলে ব্রাজিলের জন্য এটি আরো সাশ্রয়ী হবে।’

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পীচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ভারসাম্য ব্রাজিলের দিকে ঝুঁকছে।

তিনি আরো বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ভারসাম্য নিশ্চিত করতে ব্রাজিল বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য এবং চামড়াজাত পণ্যসহ আরো পণ্য আমদানি করতে পারে। সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে মূলত: চিনি, সয়াবিন তেল ও তুলা আমদানি করে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর বিশাল সুযোগ রয়েছে।

তিনি বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির প্রয়োাজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছেন।

ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিও ডি জেনিরোতে ২৪ জুলাই অনুষ্ঠেয় ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে একটি বৈশ্বিক জোট গঠনে জি-২০ টাস্ক ফোর্সের চূড়ান্ত বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য তার দেশের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার একটি আমন্ত্রণপত্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেন।

মাউরো ভিয়েরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ব্রাজিল উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চায়।

ব্রাজিলের মন্ত্রী বলেন, ব্রাজিল ও বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমপরিমাণ এবং উভয় দেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্য নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি গাজা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করে বলেন, তার দেশও গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বাংলাদেশ ও ব্রাজিল একই মত পোষণ করে।

শেখ হাসিনা গাজায় ইসরায়েলের হামলাকে গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করেন। কারণ, ইরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় এমনকি হাসপাতাল ও আশ্রয় কেন্দ্রে হামলায় নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ নিহত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘নারী, শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরাও হামলা থেকে রেহাই পাননি।’

প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন যে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ হিসেবে ব্রাজিল প্রথম ১৯৭২ সালের ১৫ মে বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

এছাড়া তিনি বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে ব্রাজিলের সহায়তা চেয়েছেন।
ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম সম্বলিত তার দেশের জাতীয় ফুটবল দলের জার্সিও প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।

নিউজফ্ল্যাশ/এসএস।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ