রাজশাহী সেনানিবাসস্থ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারে আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে আজ শনিবার (২ মার্চ ) বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট (বীর) এর ৩য় বীর পুনর্মিলনী-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন এবং পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সদস্যদের উদ্দেশ্যে দরবার নেন।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের শহিদদের স্মরণে স্থাপিত স্মৃতিস্তম্ভ ‘বীর গৌরব’ এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
প্রধান অতিথি তাঁর মূল্যবান বক্তব্যে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি আমাদের মহান স্বাধীনতা। আরও স্মরণ করেন ভাষা শহিদ ও মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদদের।
তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম। সর্বপ্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি পেশাদার, প্রশিক্ষিত ও শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে প্রয়াসী হন। জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে বর্তমান সরকার প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন যুগোপযোগী সামরিক বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করছে।
এ লক্ষ্যে ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাহিনীগুলোর আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা, তিনবাহিনী প্রধানগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দসহ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট ও বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের অবসরপ্রাপ্ত ও চাকুরিরত কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবির সদস্যবৃন্দ এবং মিডিয়া ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।