ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে ও ইতিবাচকভাবে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় তার দেশ। এজন্য দুই দেশের জনগণের স্বার্থে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি এমন কথা বলেন।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে ফোন করে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারের আশ্বাস দেন। আমরা বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চাই। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদারে ভারত আগ্রহী।’
এ সময় তিনি পর্যটন এবং ব্যবসাক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে সেসব সমস্যা দূর করতে কাজ চলছে বলেও জানান।
মিশ্রি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক, গঠনমূলক এবং পারস্পরিক স্বার্থনির্ভর সম্পর্ক চায় ভারত।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আমাদের মধ্যে সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং কূটনৈতিক সম্পত্তির ওপর আক্রমণের মতো সাম্প্রতিক দুঃখজনক কিছু ঘটনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত আশা করে, সম্পর্ক বেগবান করতে বাংলাদেশ ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে বিষয়গুলো দেখবে।
এদিকে ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে কিছুটা উত্তেজনা চলছে। ভারতীয় মিডিয়ায় বাংলাদেশবিরোধী প্রচার, দেশটিতে বাংলাদেশ মিশনে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে জরুরি ভিত্তিতে তলবও করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এসব নিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক খুব ভালো যাচ্ছিল না। এরই মধ্যে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ সফর করছেন।
সফর বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন বলেন, ভারত থেকে যে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভরশীলতা এবং তাদেরকে বাংলাদেশে প্রতিনিধি মনে করাটাই ভারতের পররাষ্ট্র নীতির একটি বড় ভুল। ভারতের উচিত বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল এবং জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা।
দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে দেশটির পররাষ্ট্র সচিব এমন বার্তাই দিলেন।