প্রবল বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে শেরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উজানের পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও প্লাবিত হয়েছে ভাটি এলাকা।
বন্যার পানিতে ডুবে নালিতাবাড়ির খলিশাকুড়ির খলিলুর রহমান (৬৫), আন্ধারুপাড়া ইদ্রিস আলী (৬৫) ও ঝিনাইগাতির সন্ধাকুড়ায় অজ্ঞাত একব্যক্তিসহ তিনজন মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এই পর্যন্ত ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ি উপজেলার অন্তত ১৪টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাাবিত হয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষ। বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে লোকজন।
জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ড. সুকল্প দাস বাসস’কে জানিয়েছেন, এই পর্যন্ত জেলায় ৭ হাজার ৭শ’ হেক্টর জমির আমন ধান সম্পূর্ণ পানির নীচে এবং ৯ হাজার ৭শ’ হেক্টর জমির আমন ধানের আবাদ আংশিক পানির নীচে তলিয়ে গেছে। ৬শ’ হেক্টর জমির শীতকালীন সবজি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুল হক আজ সকালে জানান, ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়িতে পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ৩ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়-ক্ষতি নির্ণয় করার জন্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।