চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্তে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে আবারও উত্তেজনা শুরু হয়েছে। শনিবার শূন্যরেখায় দফায় দফায় দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বেলা ১১টা থেকেই এ উত্তেজনা দেখা দেয়। বিকেল সোয়া ৪টায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে পরিস্থিতি শান্ত।
স্থানীয়রা জানান, সকালে ভারতের কয়েকজন নাগরিক সীমান্তের শূন্যরেখায় বাংলাদেশ অংশে এসে গাছ কাটছিল। এ সময় বাংলাদেশিরা বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে দুই দেশের নাগরিকরা সংঘবদ্ধ হয়ে শূন্যরেখার কাছাকাছি অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভারতীয়রা ইটপাটকেল ও পাথরের পাশাপাশি ককটেল বিস্ফোরণও ঘটিয়েছে। দুপুর পর্যন্ত অন্তত ১০টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
স্থানীয়দের ধারণ করা কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে শতাধিক ভারতীয় নাগরিক। সঙ্গে বিএসএফ সদস্যরাও ছিলেন। এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশের জনগণও জড়ো হতে থাকেন। সৃষ্টি হয় উত্তেজনা। দুই দেশের নাগরিকের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিএসএফের সামনে ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করেছে। ওপার থেকে টিয়ারসেল ছুড়তেও দেখা দেখা গেছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে বিজিবি।
৫৯-বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, শনিবার সকালে ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। আম গাছ কাটকে কেন্দ্র করে সীমান্তে উত্তেজনা ছড়ায়। পরে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সোয়া ৪টায় পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএসএফ এ ঘটনার জন্য ভুল স্বীকার করে তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন বলে জানান বিজিবি অধিনায়ক।
এরআগে, গত ৭ জানুয়ারি আইন লঙ্ঘন করে বিএসএফের পক্ষ থেকে শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ শুরু করলে বিজিবি বাধা দেয়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।