হরিদ্বার বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রধান ছিলেন অভিযুক্ত। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তাঁর সদস্যপদ কেড়ে নিয়েছে বিজেপি। মহিলা এবং তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে প্রেমিককে দিয়ে নিজের কন্যাকে ধর্ষণ করানোর অভিযোগ! ধর্ষণে যুক্ত ছিলেন প্রেমিকের এক সহযোগীও। অভিযোগ, মায়ের সামনে এবং সম্মতিতেই দু’জন মিলে ধর্ষণ করেন কিশোরীকে। এক বার নয়, একাধিক বার। কিশোরীর বাবা বিষয়টি জানতে পারার পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে বিজেপি নেত্রীর প্রেমিকের সহযোগী এখনও পলাতক। তাঁকে খুঁজছে পুলিশ।
অভিযুক্ত একসময় বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রধান ছিলেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে, বাতিল হয়েছে সদস্যপদ। হরিদ্বারের স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছেন, ওই মহিলা ২০২৪ সালের অগস্টের পর থেকেই দলের আর কোনও পদে ছিলেন না।
পুলিশ জানিয়েছে, স্বামীর সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদ না-হলেও আলাদা থাকতেন মহিলা। তিনি প্রেমিকের সঙ্গে থাকতেন এবং তাঁর কন্যা থাকত স্বামীর সঙ্গে।
অভিযোগ, গত জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে হরিদ্বার, আগরা এবং বৃন্দাবনে একাধিক বার কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। প্রতি ক্ষেত্রেই ধর্ষণের সাক্ষী ছিলেন কিশোরীর মা। অভিযোগ, এই ঘটনার কথা কাউকে বলে দিলে কিশোরীর বাবাকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি সেই হুমকি উপেক্ষা করেই বাবাকে ঘটনার কথা জানায় নির্যাতিতা।
হরিদ্বারের এসএসপি প্রমেন্দ্র ডোভাল জানিয়েছেন, বুধবার একটি হোটেল থেকে অভিযুক্ত মহিলা এবং তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারা এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। কিশোরীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করে শারীরিক নির্যাতনের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা। কী কারণে কিশোরীর মা এই কাজ করিয়েছেন, মেয়ের প্রতি তার কোনও আক্রোশ ছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।