উপকুলীয় লবনাক্ত অঞ্চলে উন্নত প্রযুক্তিতে পুষ্টি সমৃদ্ধ মিষ্টি আলু উৎপাদন প্রযুক্তি এবং সম্প্রসারণে আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী গ্রামে ৪ দিন ব্যাপী কৃষক-কৃষাণীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল পটেটো সেন্টার বাংলাদেশ’র তত্ত্ববধানে ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্চ ইনিস্টিটিউট, ওয়াল্ড ফিস এবং সিমিট এর যৌথ উদ্যোগে সিজিআইএআর এর আর্থিক সহায়তায় এশিয়ান মেগা ডেল্টাস ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণার্থী ১০০ কৃষক-কৃষাণীদের মধ্যে ৫০ হাজার মিষ্টি আলুর লতা বিতরন করা হয়।
জানাগেছে, বিলুপ্ত প্রায় মিষ্টি আলু চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে ইন্টারন্যাশনাল পটেটো সেন্টার উপকুলীয় লবনাক্ত অঞ্চলে উন্নত প্রযুক্তিতে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী গ্রামে চার দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ গত সোমবার শুরু হয়। ১০০ জন কৃষক-কৃষানীদের বৃহস্পতিবার এ প্রশিক্ষণ শেষ হয়।
রিসার্চার এগ্রোনোমি সিআইপি-বাংলাদেশ এর প্রশিক্ষক কৃষিবিদ মোঃ মনোয়ার হোসেন কৃষক-কৃষাণীদের প্রশিক্ষণ দেন। পুষ্টি চাহিদা পুরণে মিষ্টি আলুর ভুমিকা ও উন্নত প্রযুক্তিতে পুষ্টি সমৃদ্ধ মিষ্টি আলু উৎপাদন প্রযুক্তি এবং সম্প্রসারণের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রশিক্ষণ শেষে বক্তব্য রাখেন আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ হোসাইন আলী কাজী, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোসাঃ জাকিয়া সুলতানা, ডাটা কনসালটেন্ট মোঃ রিয়াজ, ফিল্ট ফ্যাসিলেটর সাগর জোয়াদ্দার, সিএনএস আকলিমা, কানুন দেবনাথ, কৃষক আলতাফ হাওলাদার, সোবাহান সিকদার, কৃষাণী রুমা আক্তার ও মোসাঃ রোজিনা আক্তার প্রমুখ। ওই প্রশিক্ষণ শেষে ১০০ কৃষক-কৃষাণীদের মাঝে ৫০ হাজার মিষ্টি আলুর লতা বিতরণ করা হয়।