নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন (৪২) আগামী মাসে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার জেসিন্ডা নিজেই এ ঘোষণা দিয়েছেন। খবর এএফপি’র।
তিনি তার লেবার পার্টির সদস্যদের সাথে এক বৈঠকে বলেছেন, ‘আমি মানুষ। আমরা যতক্ষণ পারি সর্বোচ্চটা দিয়ে যাই। এর পর চলে যাওয়ার সময় হয়। এখন আমার চলে যাওয়ার সময়।’
জেসিন্ডা বলেন, আরো চার বছর চালিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ট শক্তি আমার নেই।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জেসিন্ডার শেষ কর্মদিবস হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এরপর নিউজিল্যান্ড লেবার পার্টিতে তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচনে ভোট হবে। দেশটির পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন আগামী ১৪ অক্টোবর।
আরডার্ন ২০১৭ সালে জোট সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন।
করোনাভাইরাস মহামারি এবং মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে সফল ব্যবস্থাপনার কারণে জেসিন্ডা দেশে বিদেশে প্রশংসিত ও দ্বিতীয় মেয়াদে জয় পান।
জেসিন্ডা তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি ও অপরাধের হার বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি পরিচালিত এক জনমত জরিপে দেখা গেছে তার এ জনিপ্রয়তায় ভাটা পড়েছে।
এ প্রেক্ষিতে তিনি বলেছেন, ‘সুস্থির সময়ে দেশকে নেতৃত্ব দেয়া এক বিষয় আর সংকটের মধ্যে নেতৃত্ব দেয়া আরেক বিষয়।’
জেসিন্ডা বলেন, আগামী নির্বাচনে জয়ী হবো না এ ভেবে আমি পদত্যাগ করছি না। বরং আমি বিশ্বাস করি আমরা জিতবো।
তিনি বলেন, আমি ছেড়ে দিচ্ছি কারণ এ ধরনের সুবিধাজনক কাজের সাথে সাথে বড়ো দায়িত্বও চলে আসে। দায়িত্বটি হলো কখন তুমি নেতৃত্ব দেয়ার জন্যে যোগ্য আর কখন নও তা বুঝতে পারা।