অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্বলতাকে বড় করে না দেখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, এই সরকারের ত্রুটি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে এই দুর্বলতাকে বড় করে না দেখে তাদের সদিচ্ছাকে বড় করে দেখা উচিত। নির্বাচন নিয়ে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি দেখছি না।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, বিএনপি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা থেকে ফ্যাসিস্ট শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।
উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বিমান দুর্ঘটনায় অনেক কচি প্রাণ গেছে। আমি নিজেও দেখতে গিয়েছিলাম। আমরা দুঃখপ্রকাশ করেছি, শোক জানিয়েছি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মাইলস্টোন স্কুলে দুই উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। পরীক্ষা সংক্রান্ত জটিলতায় সচিবালয়ে ছাত্ররা ঢুকে পড়ে যেটা সবার কাছে মনে হয়েছে এটা প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকদিন আগে গোপালগঞ্জে ফ্যাসিস্ট শক্তির লোকজন যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল, তাদের উত্থানের নমুনা মনে হয়েছিল।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা হঠাৎ করেই আমাদের ডেকেছিলেন। ডাকেন মাঝে মাঝে যখন ক্রাইসিস তৈরি হয় সরকারের। আমরা যাই কারণ আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এই সরকারকে সহযোগিতা করবো। গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য যা কিছু করা দরকার করবো। তবে আমরা মনে করি এই মতবিনিময়টা আরও ঘনঘন হলে ভালো হতো।
এই বিএনপি নেতা বলেন, এটার জন্য উনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছেন রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন, তাদের সবার সঙ্গে আলোচনার জন্য তিনি ডেকেছেন। আমরা সেখানে আলোচনা করেছি। নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দ্রুত ত্বরান্বিত করা, ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে ওনার যে প্রতিশ্রুতি, আমরা মনে করি সে ব্যবস্থা নেয়া উচিত এবং তিনি বলেছেন সেই ব্যবস্থা নেবেন।
রাজনীতি মানেই কথার লড়াই, এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, গোপালগঞ্জের সংঘাত নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এই জুলাই মাসেই ফ্যাসিস্ট শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।