নাসা’র প্রধান নভোচারী জোসেফ এম আকাবা এখানকার তরুণ, শিক্ষাবিদ, সরকারি কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমের সঙ্গে সংযোগে সফল অংশগ্রহণের পর, তার বাংলাদেশ সফর শেষ করেছেন। আকাবা প্রথমবারের মতো এদেশের তরুণ, শিক্ষাবিদ ও গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকায় আসেন।
মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিমূলক সেশনে তিনি তরুণদের মহাকাশ বিজ্ঞান, রোবোটিক্স, স্টেম, গবেষণা ও শিক্ষায় ক্যারিয়ার গড়তে অনুপ্রাণিত করেন। সফরকালে আকাবা প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং জলবায়ু সংকটের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মহাকাশ অনুসন্ধানের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। আকাবা বৈশ্বিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নাসার অবদান এবং আর্টেমিস অ্যাকর্ডের মাধ্যমে মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা থেকে বাংলাদেশ কীভাবে উপকৃত হতে পারে, সে সম্পর্কে মতামত বিনিময় করেন। আর্টেমিস অ্যাকর্ডস মহাকাশে একটি নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য নাসা এবং বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান মহাকাশ ও প্রযুক্তি খাতের মধ্যে আরও সহযোগিতা জোরদারের নীতিমালাকে এগিয়ে নেয়।
আকাবা একজন আমেরিকান শিক্ষাবিদ, হাইড্রোজিওলজিস্ট এবং একজন রিটার্ন পিস কোর স্বেচ্ছাসেবক।
২০০৪ সালের মে মাসে পুয়ের্তো রিকান বংশোদ্ভূত প্রথম ব্যক্তি হিসেবে নাসার নভোচারী প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হন তিনি। ২০২৩ সালে আকাবাকে নাসা’র অ্যাস্ট্রোনট অফিস প্রধান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। মহাকাশচারী হিসেবে, আকাবা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে স্পেসওয়াক এবং যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক গবেষণাসহ তিনটি মিশনে ৩০৬ দিনেরও বেশি সময় মহাকাশে অবস্থান করেছিলেন।