বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা হরতাল-অবরোধের মধ্যে কয়েকটি ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায় কমলাপুর রেলস্টেশনে র্যাবের ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে ট্রেন ছাড়ার আগে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে স্ক্যানিং ব্যবস্থা। নাশকতা এড়াতে মেট্রোরেলেরও নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশন পরিদর্শন করেন মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খ. মহিদ উদ্দিন।
এ সময় তিনি মেট্রোরেল স্টেশনে ঢোকার প্রবেশপথগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে পর্যবেক্ষণ, মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি, স্টেশনের সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় ওঠার পর খোলা জায়গায় (কনকর্স হল) আর্চওয়ে, ট্রেনে ওঠার আগে লাগেজ স্ক্যানার ও বিস্ফোরক জাতীয় বস্তু শনাক্তের যন্ত্র রাখার নির্দেশ দেন।
মহিদ উদ্দিন বলেন, পরিদর্শনকালে মেট্রোরেলের নিরাপত্তার ছোট ছোট কিছু বিষয় তার চোখে পড়েছে। এ জন্য কী কী করণীয়, তা নিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশনের নিরাপত্তা বিভাগের ব্যবস্থাপক মেজর (অব.) গোলাম রসুল আজাদসহ উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের সঙ্গে সেবার মান বাড়ানো নিয়েও কথা হয়েছে। এসব এখন থেকেই চালু হবে।
নিরাপত্তা বাড়াতে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে মেটাল ডিটেক্টর দেয়া হবে জানিয়ে ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, স্টেশনের ভেতরে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে, সংশ্লিষ্টদের এগুলো মনিটর করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণে রেখে নোটিশ করতেও বলা হয়েছে।
নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে ওয়্যারলেস সেট থাকার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, মাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) কর্তৃপক্ষকে দ্রুত লাগেজ স্ক্যানার ও আর্চওয়ের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বিস্ফোরক জাতীয় দ্রব্য শনাক্তের যন্ত্র রাখারও যেন ব্যবস্থা করা হয়।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ও এমআরটি পুলিশের সঙ্গে ডিএমপি মেট্রোরেলের নিরাপত্তা দিতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানান মহিদ উদ্দিন।
শুরুর দিকে ডিএমপির সাড়ে ৪০০ সদস্য মেট্রোরেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। এরপর মেট্রোরেলের জন্য বিশেষায়িত মেট্রোরেল পুলিশ বা এমআরটি পুলিশ গঠন করা হয়। এ ইউনিটে একজন ডিআইজির (উপ-মহাপরিদর্শক) নেতৃত্বে ৩৫৮ জন পুলিশ সদস্য এবং ডিএমপির ১৩২ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। ডিএমপির ১৩২ সদস্যের মধ্যে ৪৬ জন নারী পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।