শনিবার, ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নয়াদিল্লি থেকে দেশের উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ফটো।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের পর আজ নয়াদিল্লি থেকে দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট, প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় দুপুর ১ টা ৮ মিনিটে (আইএসটি) ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে।

ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী অনুপ্রিয়া সিং প্যাটেল বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

ফ্লাইটটি বিকেল সাড়ে ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

এর আগে, ৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লি পৌঁছেন, এখানে তিনি তাঁর ভারতীয় সমকক্ষ নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন।

সফরকালে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে তার ভারতীয় সমকক্ষ নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেন। দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

তিনটি সমঝোতা স্মারক হল: ‘কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা, ‘সাংস্কৃতিক বিনিময়’ এবং ‘দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের সহজীকরণ’।

জি ২০ সম্মেলনে, ৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেন এবং শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘এক পৃথিবী, একটি পরিবার, একটি ভবিষ্যত’ এর অধীনে পৃথক দুটি ভাষণ দেন।

‘এক পৃথিবী’ এবং ‘এক পরিবার’ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড মহামারীর পরে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, ইউরোপে যুদ্ধের ফলে জ্বালানি, খাদ্য ও সারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর বৈশ্বিক সরবরাহের মারাত্মক ব্যাঘাতের মতো চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবেলা করা যায় তা তুলে ধরেন।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের অভিজ্ঞতা অংশগ্রহণকারী বিশ্বনেতাদের সামনে তুলে ধরেন।

১০ সেপ্টেম্বর, জি ২০ সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের নেতাদের সাথে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর তিনি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দেন। সম্মেলনের শেষ দিনে ‘জি২০ নয়া দিল্লি নেতাদের ঘোষণা’ গৃহীত হয়।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স এবং প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদ, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।

ভারতের জি ২০ সভাপতিত্ব ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল এবং এই সভাপতিত্বের মেয়াদে ভারত বাংলাদেশসহ মোট নয়টি দেশকে সমস্ত জি ২০ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।

দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ