জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে ছিনিয়ে নিয়েছে জঙ্গিরা। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য আহত হয়।
আজ রোববার দুপুর পৌনে ১টায় মোটরসাইকেল করে আসা চার জঙ্গি সদস্য ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে তাদের ছিনিয়ে নেয়।
পলাতক জঙ্গি সদস্যরা হলেন- সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুরের মইনুল হাসান শামীম ও লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলার ভেটেশ্বর গ্রামের আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। তারা জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য।
আজ ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনাললে মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় তাদের হাজিরা ছিল। হাজিরা শেষে তাদের হাজতখানায় নেওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান হারুন আর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দু’টি মোটর সাইকেলে চারজন লোক এসে পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে আসামিদের ছিনিয়ে নেয়। তারা প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারি জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ জিয়াাউল হক জিয়াসহ আট জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। এবং প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বহিষ্কৃত মেজর জিয়া, আকরাম হোসেন, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুস সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার এবং শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের। আসামিদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক রয়েছেন।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই দিনে লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে এর স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুল, লেখক রণদীপম বসু ও প্রকৌশলী আবদুর রহমানকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।