সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দিল্লির পার্কে শেখ হাসিনা

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের প্রায় দুই মাস হলো। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর থেকে শেখ হাসিনা ভারতের দিল্লিতে অবস্থান করছেন। তবে তিনি দিল্লির ঠিক কোথায় আছেন, সেটা স্পষ্ট নয়। এ নিয়ে ভারত সরকার তেমন কিছু জানায়নি। তবে তার অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের কূটনীতিক পাড়ায় চলছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা।

এমন পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে বৃহস্পতিবার ১৮ সেপ্টেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস যেখানে বলা হয়েছে, মেয়ের সায়মা ওয়াজেদের সাথে দিল্লিতে আছেন শেখ হাসিনা। এমনকি তাকে একটি পার্কেও ঘুরতে দেখা গেছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন অভিমুখে লংমার্চ শুরু করলে তিনি পদত্যাগ করেন এবং সামরিক বিমানে করে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর থেকে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। শেখ হাসিনাকে নিয়ে এখন পর্যন্ত এটিই নিশ্চিত করেছে মোদি সরকার। এর বেশি কোনো তথ্য দিতে রাজি হচ্ছে না দিল্লি। কিন্তু হাসিনার অবস্থান নিয়ে জল্পনা থেমে নেই।

বিভিন্ন বিশ্বাসযোগ্য সূত্রের বরাতে ভারতীয় এলিট শ্রেণি ব্যক্তিগতভাবে দাবি করছেন, শেখ হাসিনা এখন ভারতীয় সরকারের একটি সেফ হাউসে রয়েছেন। তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদও তার সঙ্গে আছেন। শুধু তাই নয়, তাকে সদলবলে দিল্লির অন্যতম অভিজাত পার্ক লোদি গার্ডেনে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান বিদেশি সমর্থক ছিল মোদি সরকার। তবে এখন তারা হাসিনাকে আশ্রয় দিলেও এ বিষয়ে তেমন উচ্চবাচ্য করছে না। দিল্লির এমন অবস্থানের পেছনে কয়েকটি কারণও উল্লেখ করেছে ফিনান্সিয়াল টাইমস। যেমন, গত জুলাই ও আগস্ট মাসে আন্দোলনের সময় শত শত মানুষ হত্যায় শেখ হাসিনার নামে অনেক মামলা হয়েছে। আর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে।

২০১৩ সালে হাসিনা নিজেই এই চুক্তি করেছিলেন। এখন তাকে দেশে ফেরত এনে বিচারের আওতায় আনতে এই চুক্তি কাজে লাগতে পারে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ