খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশের জন্য ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ‘কৌশলগত বিরতি’ ঘোষণা করেছে ইসরাইল।
রোববার ((১৬ জুন) ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এ ঘোষণা দেয়। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত গাজায় মানবিক সংকট যাতে আরও খারাপ না হয় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য মিত্রদের ক্রমাগত চাপের মুখে ইসরাইল এই ‘কৌশলগত বিরতি’র সিদ্ধান্ত নিলো। সামরিক বাহিনীর ঘোষণা করা এই ‘কৌশলগত বিরতি’ দক্ষিণ গাজার রাফা শহরের প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
আইডিএফ বলেছে,
এখন থেকে প্রতিদিন স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিরতি থাকবে। আর পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিরতি কার্যকর থাকবে। এ সময়ে কেরেম শালম ক্রসিং দিয়ে গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশ করতে পারবে। তারপর সেই ত্রাণ সামগ্রী সালাহ আল দীন সড়ক দিয়ে উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছানো হবে।
আইডিএফ আরও জানিয়েছে, জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই তারা এই সামরিক বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
‘কৌশলগত বিরতি’র বিষয়টি স্পষ্ট করে এক এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে আইডিএফ লিখেছে,
দক্ষিণ গাজায় কোনো যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়নি আর রাফা শহরে যুদ্ধ চলবে।
এদিকে, ইসরাইলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুসারে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট-কেউই এই ‘কৌশলগত বিরতি’র পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত ছিল না।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ বর্বরতায় ৩৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর আহতের সংখ্যা ৮৪ হাজার ছাড়িয়েছে।