বৃহস্পতিবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তালতলীর ইউপি চেয়ারম্যানের আপত্তিকর ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল,এলাকায় নিন্দার ঝড়

তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর পরে এবার উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও পর্নোগ্রাফি মামলার প্রধান স্বাক্ষী আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের নগ্ন ও এক তরুনীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। এতে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে। দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।

জানাগেছে, তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়া এক তরুনীর বিরুদ্ধে মোবাইলে আপত্তিকর ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াসঅ্যাপ ও ম্যাসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ এনে গত ১২ এপ্রিল তালতলী থানার পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের করেন। এতে ওই তরুনী এবং তার সহযোগী জাহিদুল ইসলাম সবুজ ফকিরকে আসামী করা হয়। ওই মামলায় বরগুনা ডিবি পুলিশ ওই তরুনী ও তার সহযোগীকে গত শুক্রবার গ্রেপ্তার করে। এ মামলার প্রধান স্বাক্ষী করা হয় উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার ও দ্বিতীয় স্বাক্ষী উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পদক মিঠু।

গত বুধবার রাতে এ মামলার প্রধান স্বাক্ষী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের নগ্ন ও ওই তরুনীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। ৪৫ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় চেয়ারম্যান রাজ্জাক একেবারে নগ্ন অবস্থায় মোবাইল নিয়ে বিছানায় শুইয়ে আছেন। ৫২ সেকেন্ডের আরো একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় চেয়ারম্যান ওই তরুনীর পা চাটছেন এবং টিপছেন। ১ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের আরেকটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, ওই তরুনীকে চেয়ারম্যান বাহুডেরা করে হাস্যজ্জল অবস্থায় শুইয়ে আছেন। এমন ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে। এ ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ তার শাস্তি দাবী করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের কয়েকজন বলেন, একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের যদি এমন অবস্থা হয়,তাহলে কার কাছে আমরা নিরাপদ। চেয়ারম্যানের এমন ঘৃনিত কর্মকান্ডের শাস্তি দাবী জানান তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সাবেক সাংসদ অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। জেনে শুনে ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। সঠিক অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ