জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসীরা পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা দেলোয়ার খাঁনের ঘর লুটপাত করে স্বর্ণাংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ তার। আহতদের স্বজনরা উদ্ধার করে শুক্রবার রাতে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার রাত দশটার দিকে তালতলী উপজেলার পশ্চিম গাবতলী গ্রামে।
জানাগেছে, উপজেলার পশ্চিম গাবতলী গ্রামের দেলোয়ার খাঁন ও আইয়ুব আলী ফরাজীর মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধীয় জমিতে শুক্রবার রাতে আইয়ুব আলী ফরাজী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী মাটি কাটতেছিল। এতে দেলোয়ান খাঁন বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় আইয়ুব আলী ফরাজী ও তার সন্ত্রাসীরা। এর জের ধরে শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে আইয়ুব আলী ফরাজীর ছেলে মামুন ফরাজী, তার ভাইয়ের ছেলে বাদশা ফরাজী, আবু ছালেহ ফরাজী, আল আমিন খাঁন ও বারেক কাজীসহ ৮/১০ জন সন্ত্রাসী দেলোয়ার খাঁনের বাড়ীতে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা দেলোয়ার খাঁনের স্ত্রী খাজিদা (৪০) ও বড় ভাই রজমান খানকে (৫৫) কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এবং দেলোয়ার খাঁন (৪৫), খাদিজা (৩৫) ও ফাতেমাকে (১৩) মারধর করে। পরে সন্ত্রাসীরা দেলোয়ার খাঁনের ঘর লুটপাট করে দুই ভরি স্বর্নাংকার ও নগদ ১ লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে দাবী তার। আহতদের ওই রাতেই স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে নিয়ে আসে। অপর আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়।
দেলোয়ার খাঁনের আহত স্ত্রী খাজিদা বলেন, সন্ত্রাসী মামুন ফরাজী, বাদশা ফরাজী, আবু ছালেহ ফরাজী, আল আমিন খাঁন ও বারেক কাজীসহ ৮/১০ জন আমার ঘরে ঢুকে আমাকে কুপিয়ে জখম করেছে এবং ঘরে থাকা স্বর্নাংকার ও টাকা লুটপাট করেছে।
দেলোয়ার খাঁন বলেন, আমার স্ত্রী, আমার ভাইকে কুপিয়ে সন্ত্রাসীরা ঘরে থাকা দুই ভরি স্বর্নালংকার ও নগদ এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা লুট করে নিয়েছে। আমি এ ঘটনার শাস্তি দাবী করছি।
আইয়ুব আলী ফরাজী সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি বাড়ীতে ছিলাম না, কি হয়েছে তা আমার জানা নেই?
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ তানভির শাহারিয়ার বলেন, দুইজনের মাথা ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তাদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তালতলী থানার ওসি মোঃ শহীদুল ইসলাম খান বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।