ঈদের দিন (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টার দিকে ইসরাইলের তেল আবিব থেকে সরাসরি একটি ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
ঘটনার দুদিন পর তেল আবিব থেকে সরাসরি ফ্লাইট অবতরণের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
শনিবার বেবিচকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ সোহেল কামরুজ্জামানের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরাইল থেকে বিমান এলো ঢাকায়’ শিরোনামে বিভিন্ন পত্রপত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত ৭ এপ্রিল একটি বিমান তেল আবিব থেকে উড্ডয়ন করে সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করে ও কার্গো নিয়ে রাত ১১টা ৫৫ ঘটিকায় ঢাকা থেকে উড্ডয়ন করে এবং অপরটি গত ১১ এপ্রিল তারিখ রাতে ঢাকায় অবতরণ ও মধ্যরাত সাড়ে ১২ টায় কার্গো নিয়ে ঢাকা থেকে উড্ডয়ন করে। দুটি বিমানই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত এবং ওই দেশের বিমান সংস্থা ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তি রয়েছে। বিমান চলাচল চুক্তি অনুযায়ী কার্গো ফ্লাইট দুটি ঢাকা এসেছিল। ঢাকা থেকে তৈরি পোশাক নিয়ে ফ্লাইট দুটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ এবং ইউরোপের একটি গন্তব্যে গিয়েছে। বাংলাদেশ ও ইসরাইলের মধ্যে কোনো বিমান চলাচল চুক্তি নেই এবং ইসরাইলের কোনো বিমান বাংলাদেশে অবতরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ইসরাইল থেকে বিমান এলো ঢাকায়’ শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভিন্নভাবে প্রকাশের ফলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া, এ ধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত হিসাবে বিবেচ্য। এরূপ সংবাদ পরিবেশন হতে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।
ফ্লাইট নজরদারি বিষয়ক ওয়েবসাইট ফ্লাইটরেডার টোয়েন্টিফোরের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার ঈদের দিন বাংলাদেশ সময় রাত ৮টার দিকে ওই ফ্লাইট তেল আবিব থেকে প্রায় ৬ ঘণ্টা উড়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামে। বিষয়টি নিয়ে একাধারে কৌতুহল ও নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়। সোশাল মিডিয়ায় নানামুখী আলোচনা চলছে। অনেকেই সরকারের সমালোচনায় মুখর হন।