জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া শিক্ষা ও কর্মজীবনের সর্বত্রই মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি প্রত্যন্ত পীরগঞ্জকে থেকে উঠে এসে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে নিজস্ব সততা, নিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতার দ্বারা পরমাণু বিজ্ঞানে অবদান রাখায় আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সুনাম অর্জন করেছেন। ড. ওয়াজেদ মিয়া তাঁর আদর্শ, মূল্যবোধ এবং কর্মের মাধ্যমে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন আয়োজিত প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ৮১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও প্রকাশিত গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এসময় তিনি ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কর্মময় জীবন অবলম্বনে রচিত ‘বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কর্মময় জীবন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
মোড়ক উন্মোচন গ্রন্থের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বক্তব্য দেন এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ড. শহীদ হোসাইন ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. অশোক কুমার পাল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এবং পীরগঞ্জ (রংপুর) সমিতির সভাপতি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আ ন ম আল ফিরোজ।
শিরীন শারমিন চৌধুরী আরো বলেন, ড. ওয়াজেদের মত কৃতি সন্তান যে পীরগঞ্জ থেকে উঠে এসেছেণ। বঙ্গবন্ধু দেশের মেধাবী সন্তানদের কাজে লাগাতে চাইতেন। শিক্ষাক্ষেত্রে মেধার স্বাক্ষর রাখার পাশাপাশি রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার জন্য ওয়াজেদ মিয়ার প্রতি বঙ্গবন্ধু আকৃষ্ট হয়েছিলেন।
স্পিকার বলেন, ‘বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কর্মময় জীবন’ গ্রন্থটিতে তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিক, তথ্য ও ঘটনাবহুল বিষয় সুনিপুণভাবে সহজ ভাষায় ব্যক্ত হয়েছে এবং ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও উঠে এসেছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, টিভি টুডে এর প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রিদি, বঙ্গবন্ধু পরমাণু বিজ্ঞানী পরিষদের সভাপতি ড. এ কে এম ফজলে কিবরিয়া, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এফ এম মিজানুর রহমান এবং ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের ক্রেন্দ্রীয় সভাপতি এ কে এম ফরহাদুল কবির, গ্রন্থটির লেখক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক আসাদুজ্জামান, আগামী প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী ওসমান গনি উপস্থিত ছিলেন।