বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি)’র ডলারের দাম ০.৫০ টাকা অবমূল্যায়নের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিবির মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ‘গত কয়েক মাসে আমরা আমদানিকৃত পণ্যের চাহিদা এবং তাদের সরবরাহের ওপর নিবিড়ভাবে নজরদারি করেছি। আমাদের পর্যবেক্ষণগুলো বর্তমান অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্সে একটি উদ্বৃত্ত প্রকাশ করে। আমাদের আর্থিক অ্যাকাউন্ট বর্তমানে ঘাটতিতে থাকলেও ঋণ পরিশোধ ধীরে ধীরে কমার ফলে এটি আগামী দিনগুলোতে উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঋণ পরিশোধের পরিমাণ কমার ফলে আমাদের ডলারের চাহিদা কমবে। আমদানিতে ডলারের চাহিদার ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে বেশিরভাগ লেটার অব ক্রেডিট দৃশ্যমানভাবে নিষ্পত্তি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, রেমিটেন্স বাড়ছে। ফলে, বৈদেশিক মুদ্রার সুস্থ সরবরাহ নিশ্চিত হচ্ছে।
সব ব্যাংকের নেট ওপেন পজিশনের ইতিবাচক অবস্থান তুলে ধরে হক জোর দেন যে ডলারের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। তাই বাফেদা’র ডলার প্রতি ০.৫০ টাকা অবমূল্যায়ন করার সিদ্ধান্তকে বিচক্ষণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বাফেদা ও এবিবি’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রপ্তানি আয় এবং রেমিট্যান্সের জন্য ডলার ক্রয় মূল্য ১১০.৫০ টাকা থেকে কমিয়ে ১১০ টাকা এবং আমদানি নিষ্পত্তির জন্য ডলারের বিক্রয় মূল্য ১১০.৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে যা আগে ১১১ টাকা ছিল।
২০২১ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের মূল্য নির্ধারণ শুরু করার পর থেকে ডলারের দামের প্রথম সমন্বয়। একই বছরের সেপ্টেম্বর থেকে বাফেদা ও এবিবি বিনিময় হার স্থিতিশীল করার জন্য যৌথভাবে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক পদক্ষেপটি মুদ্রার মূল্যায়ন পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।