ভারতের কিংবদন্তি টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা বলেছেন, টাকা-পয়সা, গাড়ি-বাড়ি, খ্যাতি-সম্মান জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস নয়। এগুলো ভোগ বিলাসের একটি অংশ মাত্র। আসলে গুরুত্বপূর্ণ হলো জীবনের কঠিন সময়ে যে আপনার পাশে থাকবে সে।
এক সাক্ষাত্কারে সানিয়া বলেন, আমি মনে করি বাস্তবতার সংস্পর্শে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমার শরীরও একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তিনটি অস্ত্রোপচারের পরে এক ছেলে আগলে রাখা আমার জন্য সমস্যা হচ্ছে।
সানিয়া আরও বলেন, লোকেরা দেখবে যে আপনি গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে আছেন। কিন্তু তারা বুঝতে পারবেনা যে ফাইনালে পৌঁছানোর জন্য আপনাকে কী পরিমান পরিশ্রম করতে হয়েছে।
গত ১০ বছরে নিজের পরিবর্তন নিয়ে টেনিস তারকা বলেন, আমি মনে করি আপনি যখন মা হবেন, আপনার জন্য ধৈর্য ধরা ছাড়া আর কোন সমাধান নেই। খেলোয়াড়ি জীবন থেকে আমি যে শিক্ষা পেয়েছি, তা আমি পৃথিবীর কোনো বই থেকে শিখতে পারব বলে মনে হয় না। আপনি জানেন আপনার খারাপ এবং ভালো দিন আছে, আপনি জিতেছেন এবং আপনি হেরেছেন কিন্তু আপনি আবার চেষ্টা করেছেন এবং আপনি আপনার চেয়ে ভালো হওয়ার চেষ্টা করছেন।
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিকের সাবেক স্ত্রী সানিয়া মির্জা বলেন, একই জিনিস জীবনে প্রয়োগ করা যেতে পারে যেভাবে আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমার জীবনে প্রয়োগ করেছি। জীবনে ভালো মন্দ সময় যাবেই। খারাপ সময়ে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ভালো দিক থেকে অনুপ্রেরণা নিতে হবে।
২০১০ সালে ভারতীয় ব্যবসায়ী এবং বাল্যবন্ধু সোহরাব মির্জাকে ধোঁকা দিয়ে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিককে বিয়ে করেন সানিয়া মির্জা। গত জানুয়ারিতে হঠাৎ করেই সবকিছু বদলে যায়। ভেঙে চুরমার হয়ে যায় সানিয়া-শোয়েব মালিকের দীর্ঘ ১৩ বছরের সংসার জীবন। তাদের ৫ বছর বয়সি ইজহান নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
ভারতীয় টেনিস সুন্দরীকে ছেড়ে দিয়ে পাকিস্তানের অভিনেত্রী সানা জাভেদকে বিয়ে করেন শোয়েব মালিক। তারপরই জানা যায় সানিয়ার সঙ্গে আগেই ডিভোর্স হয়েছে শোয়েব মালিকের।