টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া টাইটনের পাঁচ আরোহী তাদের মৃত্যু টের পাননি।
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার উদ্দেশ্যে ডুবোযান টাইটানে সমুদ্রের তলদেশে যাত্রা করেছিলেন পাঁচ আরোহী। তবে শেষ পর্যন্ত আর ফিরে আসা হয়নি তাদের বরং নিজেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে টাইটান। ‘ভয়ংকর বিস্ফোরণে’ ভেঙে টুকরা টুকরা হয়ে গেছে সর্বোৎকৃষ্ট প্রযুক্তিতে তৈরি যান টাইটান।
জানা গেছে, টাইটান বিস্ফোরণে মৃত্যু ছিল অনুভূতিহীন। অর্থাৎ ভেতরে থাকা ব্যক্তিরা বুঝে ওঠার আগেই তারা মৃত্যুবরণ করেন। হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলেও এটিই সত্য।
মূলত ফিটনেসবিহীন সাবমেরিনে ভ্রমণ পরিচালনা এবং সমুদ্র তলদেশের প্রচুর পানির চাপের কারণে ‘টাইটান’ ধ্বংস হয়ে গেছে। এর যাত্রীদেরও তাৎক্ষণকি মৃত্যু ঘটছে। এখন আলোচনা হচ্ছে কত দ্রুত এ মৃত্যু তাদের ছুঁয়েছিল?
বিজ্ঞান বলছে, মানুষ যখন কোনো কিছুতে আঘাতপ্রাপ্ত হয় তখন ব্রেইন সেল আমাদের সঙ্গে সঙ্গে অনুভূতি টের পায়। প্রায় ১০০ মিলিসেকেন্ডের ব্যবধানে আমরা ব্যথার অনুভূতি পাই। অর্থাৎ আমাদের ব্রেইনের ব্যথা প্রসেস করতে প্রায় ১০০ মিলিসেকেন্ড লেগে যায় (১ মিলিসেকেন্ড= ১ সেকেন্ডের এক হাজার ভাগের এক ভাগ)।
অন্যদিকে ‘টাইটান’ বিস্ফোরণের তথ্য বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, সমুদ্রের তলদেশে পানরি চাপে মাত্র ৩০ থেকে ৪০ মিলিসেকেন্ডে এ ডুবোজাহাজ ধ্বংস বা বিস্ফোরিত হয়। সুতরাং, টাইটানের যাত্রীরা কোনো কিছু টের পাওয়ার আগইে মৃত্যুর স্বাদ পেয়ে গিয়েছিল। বলা যায়, একরকম ব্যথা-বেদনাহীন মৃত্যু ঘটেছিল তাদের।