অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির ঝড়ো সেঞ্চুরির সঙ্গে শারমিন আক্তার ও ফারজানা হকের হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ গড়েছিল নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এরপর বল হাতে বাকিটা সারলেন দুই স্পিনার জান্নাতুল ফেরদৌস ও ফাহিমা খাতুন। তাতেই নিশ্চিত হলো বিশাল জয়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে শুভসূচনা।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) লাহোরে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ড নারী দলকে ১৭৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ফরম্যাটে এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে গত বছর আয়ারল্যান্ডকে ১৫৪ রানে হারিয়েছিল টাইগ্রেসরা। সেটিই ছিল এর আগে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড।
এদিন টস হেরে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান সংগ্রহ করে। মাত্র ৮০ বলে ১০১ রান করেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
জবাবে অফস্পিনার জান্নাতুল ফেরদৌস এবং লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুনের ঘুর্ণিতে বিধ্বস্ত হয়ে ২৮.৫ ওভারে মাত্র ৯৩ রানে অলআউট হয়েছে থাইল্যান্ড। মাত্র ৭ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট শিকার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জান্নাতুল। বাকি ৫ উইকেট শিকার করেছেন ফাহিমা।
২৭১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল থাই মেয়েদের। ৮ ওভারে ৩৮ রান তুলে ফেলেছিল তারা। কিন্তু নবম অভারে বল হাতে তুলে নিয়েই ভেলকি দেখান ফাহিমা। ২৬ বলে ২২ রান করা চানিদা সুত্তিরুয়াংকে বোল্ড করেন ফাহিমা। এরপরেই মড়ক লাগে থাইল্যান্ডের ইনিংসে।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে থাই মেয়েরা। ফাহিমা প্রথম দুই উইকেট শিকারের পর তার সঙ্গে যোগ দেন জান্নাতুল। দুজন মিলেই ১০ উইকেট ভাগাভাগি করে নেন।
সুত্তিরুয়াং ছাড়া আর মাত্র দুজন থাই ব্যাটার দুই অঙ্কের রান করতে পেরেছেন। ওপেনার নাত্তায়া বুচাথাম ৩৬ বলে ১৭ এবং অধিনায়ক নারুয়েমোল চাইওয়াই ২৩ বলে ১৫ রান করেন।
জান্নাতুল ৫ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন। এর মধ্যে প্রথম ৪ ওভারের ৩টিই মেডেন দিয়ে ১ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। পঞ্চম ওভারে দেন ৬ রান।
ফাহিমা ৮.৫ ওভারে ২১ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের দেখা পায়। অধিনায়ক জ্যোতি মাত্র ৮০ বলে ১৫ চার ও ১ ছয়ে দুর্দান্ত এই ইনিংস খেলেন তিনি। এই ইনিংস খেলার পথে জ্যোতি বাংলাদেশের পক্ষে এক ইনিংসে বাউন্ডারি থেকে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ডও গড়েছেন। মোট ৬৬ রান তিনি বাউন্ডারি থেকে করেছেন। এর আগে ৫৬ রান বাউন্ডারি থেকে করেছিলেন শারমিন আক্তার।
অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছেন শারমিন। ১২৬ বলে ১১ চারে ৯৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এছাড়া ফারজানা ৮২ বলে ৪ চারে ৫৩ রান করেন।