টানা দুই মাস বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না কাঙ্খিত ইলিশ। মৎস্য বন্দরে শ্রমিকদের সরগরম নেই। জেলে পল্লীর বাসিন্দারা পড়েছেন অভাব অনটনে। কালে ভদ্রে দু’একটি ট্রলার অল্প কিছু মাছ পেলেও বেশিরভাগ ট্রলার সমুদ্র থেকে ফিরছে শূন্য হাতে। ফলে উপকূলের জেলে পল্লীগুলোতে চলছে হাহাকার। ঋণের দায়ে দিশেহারা উপজেলার অত্যন্ত ৩০ হাজার জেলে।
জানা গেছে, কুয়াকাটা, মহিপুর, আলীপুর মৎস্য বন্দরের আড়ৎ গুলোতে আগের মতো কর্মব্যস্ততা নেই। ঘাটের শ্রমিকরা বেকার বসে আছেন। জড়ো হয়ে টেলিভিশনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখছেন। জেলেরা পুরনো ছেড়া জাল বুনছেন।
মহিপুর মৎস্য বন্দরের শ্রমিক মোঃ হাসান বলেন, ‘গত দুই মাস ধরে মাছ খুবই কম। ট্রলার ঘাটে আসলে কিছু সময় কাজ থাকে। দিনের বেশিরভাগ সময় অলস থাকতে হয়। আয় কম, সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে।’
ধুলাসার ফিসের মালিক আবু জাফর হাওলাদার বলেন, ‘সমুদ্রে মাছ কম। বাজার সওদা করে ট্রলার সাগরে পাঠাই, ফিশিং শেষে শুন্য হাতে ফিরে আসে। গত মাসে আমার আট লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।’
মহিপুরের তিমন ফিসের মালিক দিদার উদ্দিন আহমেদ মাসুম বলেন, ব্যবসার অবস্থা ভালো না। লোকসানে আছি।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ইলিশ মাছ হচ্ছে গভীর সমুদ্রের মাছ। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রচন্ড গরম, অনাবৃষ্টির কারণে মাছ কম পানিতে আসছে না। তাই কুয়াকাটার উপকূলে কম ইলিশ ধরা পড়ছে। আশা করছি আবহাওয়া পরিবর্তন হলে পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়বে।
তিনি আরও বলেন, কুয়াকাটা সংলগ্ন সমুদ্রে দীর্ঘ ডুবোচর থাকায় রামনাবাদ, আগুনমুখা, আন্ধারমানিক ও বলেশ্বর মোহনায় ইলিশের আনাগোনা কমে গেছে।