সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে রাশিয়ার সঙ্গে তার ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা বিবেচনায় রাখতে বলেছে মস্কো। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে মস্কোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসানকে তলব করে এ কথা জানায়। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় থাকা ৬৯টি রুশ জাহাজ বাংলাদেশ তার বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিল।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের অনেক পুরনো ও পরীক্ষিত বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়ার বিশেষ ভূমিকা ছিল। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করছি। আমাদের দুই পক্ষের বোঝাপড়া এত ভালো যে একটি ইস্যু (জাহাজ ভিড়তে না দেওয়ার ঘটনা) আমাদের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব ফেলবে না।’
সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞাভুক্ত রাশিয়ার ৭টি কম্পানির ৬৯টি মাদার ভ্যাসেলকে বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার সরকারি নির্দেশনার প্রেক্ষিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুডেনকো আন্দ্রে ইউরেভিৎচ গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসানকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানান। এ সময় রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা বিবেচনায় রাখার অনুরোধ জানান। এ ছাড়া তিনি এ ঘটনায় রাশিয়ার উদ্বেগের বিষয়টি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পৌঁছে দেবার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আলোচনায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন বিরোধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার কথা তুলে ধরেন। এর পাশাপাশি তিনি রাশিয়ার ৬৯টি মাদার ভ্যাসেলকে বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার সরকারি নির্দেশনার প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থানও তুলে ধরেন।